অতিবৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা

Share Now..


গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে দেশের নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করতে পারে। কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সেই সঙ্গে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গতকাল নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপত্সীমার খুব কাছাকাছি মাত্র ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। লালমনিরহাটের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপত্সীমার ৭৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তিস্তার উজানে গজলডোবা বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণেই আকস্মিক এই বন্যা পরিস্থিতির ঝুঁকিতে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।

গতকাল রবিবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করলে ঐ অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। কক্সবাজারের মাতামুহুরী, বাটখালীসহ সেখানকার নদীগুলোর পানি বাড়লে এ জেলারও বিভিন্ন জায়গায় বন্যা দেখা দিতে পারে। পাউবোর একজন কর্মকর্তা জানান, উজানের গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ায় ভাটিতে তিস্তাপাড়ের বিশেষত নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা বিপদের মুখে। এদিকে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক বাংলাদেশি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্যা শুরুর আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে।

গতকাল পাউবোর পূর্বাভাসে জানা গেছে, গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। উজানে মধ্য ভারত ও নেপালে অতিবৃষ্টির কারণে গঙ্গা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে যদি ফারাক্কা বাঁধ খুলে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে ভাটিতে পদ্মাপাড়ের জনপদে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। পাউবো জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কক্সবাজারসহ এর সংলগ্ন অঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ সময়ে এসব অঞ্চলের নদীসমূহের পানি সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও আকস্মিক বন্যা সংঘটিত হতে পারে। দেশের নদনদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল ৪৬টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৪৮টিতে হ্রাস পায়, ছয়টি স্থানে অপরিবর্তিত থাকে। আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৬টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৫৪টিতে হ্রাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *