অমিত হাসান অনেক অবৈধ কাজ করেছেন: জায়েদ খান

Share Now..

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জায়েদ খানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন চিত্রনায়ক অমিত হাসান। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ১৮৪ সদস্যই কি মাছ বিক্রি করেন? সেলুনে চাকরি করেন? চিত্রনায়িকা ইরিন জামান, শিমু ইসলাম কি মাছ বিক্রি করেন? সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অন্যায় হয়নি। প্রশ্নই আসে না। আমি কী অন্যায় করেছি, বলতে হবে। আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়লাম। ঢালাওভাবে মন্তব্য করা তো ঠিক নয়। অমিত হাসানের এমন চ্যালেঞ্জের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়ক ও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।

জায়েদ খানের দাবি, ‘মূল সদস্যপদ থেকে বাদ পড়া শিল্পীদের বেশি টাকার বিনিময়ে সদস্যপদ দিয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান।’ তিনি বলেন, ‘অমিত হাসান অনেক সিনিয়র একজন শিল্পী। অনেক ভালো একজন অভিনেতা। কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অনেক অন্যায় করে গেছেন। ৮৪ জন শিল্পীকে তিনি সদস্য করে গেছেন। তার কমিটির লোকেরাই এই কমিটিতে আছেন। তারা জানে ৩০ থেকে ৩৫ জন শিল্পীকে তারা মিটিংয়ে পাস করেছিলেন। বাকিগুলো পাস করেনি।’
জায়েদ খানের কথায়, ‘অমিত হাসান ভাই আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, আমিও তাকে চ্যালেঞ্জ করলাম। আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে, পাঁচটি ছবিতে অবিতর্কিত কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। এরপর তাকে শিল্পী করতে হবে। কিন্তু কাউকে না বলে আপনি তাদের শিল্পী বানিয়েছেন। এর মধ্যে শিল্পী খন্দকার নামে একজন আছে, তার ছবি রিলিজ হয়নি। অধরা খান আছেন, সেই সময় তার সিনেমা রিলিজ হয়নি। আমি কমিটিতে আসার পর তার ৩টি ছবি রিলিজ হয়েছে। সাজিদ খান প্রিন্স নামে একজন আছেন তাকেও তিনি সমিতির সদস্য বানিয়েছেন। আরও কয়েকজন আছে যাদের নাম এখন মনে পড়ছে না। তিনি যা করেছেন, তা অবৈধ। কারণ, তিনি (অমিত হাসান) সাধারণ সভা করে এসব কিছুই পাস করাননি। আপনারা যাই করেন, সেটা যদি সাধারণ সভা করে পাস না করান, সেটা কিন্তু অবৈধ। সেই কাজটাই কিন্তু তিনি করেছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *