কলিমউল্লাহর পর এবার বেরোবির ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিশ
অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতির সহযোগী আখ্যা দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশিদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তার বিরুদ্ধে সকল বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য আর্থিক দুর্নীতির কারণে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
রবিবার (৬ জুন) বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বেরোবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর খন্দকার রফিক হাসনাইন এ নোটিশ দেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশিদের আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, ‘ট্রেজারার হিসেবে যোগদান করার পর থেকে অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দুর্নীতি ও অবৈধ সকল কর্মকাণ্ডের আর্থিক অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছেন ট্রেজারার ড. হাসিবুর রশিদ। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তিনি তার নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের সকল শর্ত লঙ্ঘন করে চলেছেন। এছাড়া তিনি নিজেও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অবৈধভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন যা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ পরিপন্থী। এই আইনের ধারা ১৩ অনুযায়ী ট্রেজারার পদটি শুধুমাত্র অর্থ সংশ্লিষ্ট। ট্রেজারার হিসেবে তিনি সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সকল অবৈধ কর্মকাণ্ডের আর্থিক অনুমোদন দিয়ে চলেছেন। এছাড়া, তিনি মিথ্যা, ভুয়া ও জাল ভাউচার দিয়ে অবৈধ বিল তৈরি করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং অন্যান্যদেরকেও লাভবান হতে সাহায্য করেছেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ট্রেজারারের উপস্থিতি সত্ত্বেও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও জাতীয় পতাকা অবমাননার মতো ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে হাসিবুর রশিদ নীরব ভূমিকায় ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দেওয়া দায়িত্বকে অবহেলা করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।