কান উৎসবে ফরাসি সম্মাননা পেলেন শ্যারন স্টোন
কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভাল ভবনের চতুর্থ তলায় তেরাস দে জার্নালিস্টস (সাংবাদিকদের চত্বর)। শুক্রবার সকালে জুস উপভোগের পর সেখান থেকে বেরোতেই লম্বা একজন নারীকে দেখে চোখ আটকে গেলো। মুখে মাস্ক। তবুও কয়েক সেকেন্ডেই চিনে ফেললাম— শ্যারন স্টোন! কিছুক্ষণ পর মাস্ক খুললেন।
অস্কার মনোনীত আমেরিকান অভিনেত্রীকে পাউডার গোলাপি ট্রাউজার স্যুটে দারুণ লাগছে। ঠোঁটে জ্বলজ্বল করছে গোলাপি লিপস্টিক। আশেপাশে দেহরক্ষীরা বুক সটান করে দাঁড়িয়ে আছে। এক নারীর সঙ্গে মিনিটখানেক কথা বললেন। এরপর তিনি ঢুকে গেলেন ক্যাফে দে পামে।
কিছুক্ষণ পর খবর এলো, কান উৎসবের ৭৪তম আসরে ফ্রান্স সরকারের কমান্ডারস অব দ্য অর্ডার অব দ্য আর্টস অ্যান্ড লেটারসে ভূষিত হয়েছেন ৬৩ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। ‘বেসিক ইনস্টিঙ্কট’ তারকাকে সোনার মেডেল পরিয়ে দেন কান উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো। সম্মাননা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। তার চোখের কোণে জমেছিলো আনন্দ অশ্রু।
‘দ্য ফ্রেঞ্চ ডিসপাচ’ ছবির প্রচারে কানসৈকতে আসা অভিনেতা বিল মারে অভিনন্দন জানান শ্যারন স্টোনকে। ২০০৫ সালে জিম জারমাশের ‘ব্রোকেন ফ্লাওয়ার্স’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার পর থেকে তারা বেশ ভালো বন্ধু।
১৯৫৭ সালের ২ মে পুরস্কারটি চালু করেন ফ্রান্সের তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী অন্দ্রে মালরো। ফরাসি সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখা খ্যাতিমান ব্যক্তিদের এই সম্মান দেওয়া হয়। এর আগে খেতাবটি পেয়েছেন বব ডিলান, ক্লিন্ট ইস্টউড, মেরিল স্ট্রিপ, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, ডেভিড বোওয়ি প্রমুখ।
গতকাল রাতে কানের কাছে অন্তিবে এইডস গবেষণায় সহায়তা প্রদানে জমকালো আমফার গালা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন শ্যারন স্টোন। তার সঙ্গে ছিলো ২১ বছরের ছেলে রোয়ান। শ্যারন স্টোনের আরও দুই ছেলে আছে। তারা হলো ১৬ বছরের লেয়ার্ড ও ১৫ বছরের কুইন। চিত্রনাট্যকার মাইকেল গ্রিনবুর্গের সঙ্গে ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ এবং সংবাদপত্রের সম্পাদক ফিল ব্রনস্টেইনের সঙ্গে ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সংসার করেছেন তিনি।
এবারের কানে শ্যারন স্টোনকে সামনে থেকে দেখা অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা। দুই দিন আগে প্রেস রুমের ব্যালকনি থেকে লালগালিচায় তার জৌলুস উপভোগ করেছিলাম। লালগালিচায় তো এবার কতজনই হাঁটলেন, কিন্তু চোখের সামনে ভাসছে শুধু শ্যারন স্টোন!