কালীগঞ্জে মা-বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

Share Now..

স্টাফ রিপোর্টার-

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর এলাকায় একসঙ্গে পরিবারের তিন সদস্যকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- উপজেলার গোপালপুর এলাকার রনি হোসেন, বাবা মোলাম হোসেন ও মা নারগিস বেগম। বর্তমানে রনি ও তার বাবা মোলাম হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মা নারগিস বেগম ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, রনি ডিস লাইনের কাজ করে। শনিবার রাত ১১ টার দিকে রনি কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে তার উপর হামলা চালায় একই গ্রামের নাসিম, রাজীব, রুবেল, সোহাগ, মিঠুন, রাজুসহ ১০/১৫ জন। রড দিয়ে পিটিয়ে জখমের পর রনি দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর মাথায় পানি দিতে থাকেন তার বাবা ও মা। এরপর বাড়িতে গিয়ে আবারও হামলা চালায় তারা। বাবা-মা রনিকে ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এরপর তার মায়ের বাম পায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রনির মা নারগিস বেগমকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রনি হোসেন জানান, তিনি ডিস ক্যাবল লাইনের কাজ করেন। রাতে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাড়ির সামনে থেকে তার উপর হামলা করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তাদের হাতে ধারালো দা ও লোহার রড ছিল। মারধরের পর তিনি দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। বাড়িতে যাওয়ার পর মাথায় পানি দিতে থাকেন তার বাবা ও মা। এ সময় আবারও ১০/১৫ জন হামলা করে। তার বাবা-মা তাকে ঠেকাতে গেলে তাদেরকে রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এরপর তার মায়ের পায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

রনির বাবা মোলাম হোসেন জানান, বাড়ির সামনের দোকানে রনি কাজ শেষ করে ফিরলে তার উপর হামলা চালায় কয়েকজন। এরপর বাড়িতে রনির মাথায় পানি দেওয়ার সময় আবারও হামলা চালায়। এ সময় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও তার স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় তিনি কালীগঞ্জ থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।

কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

One thought on “কালীগঞ্জে মা-বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *