কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আরও ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলার আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জুতা, বোরকা ও হিজাব জব্দ করা হয়।
শনিবার (৬ মে) রাত থেকে রোববার (৭ মে) পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো আসামিদের বহন করা গাড়ি চালক কুমিল্লার তিতাস উপজেলার লালপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে মো. সুমন হোসেন (২৭), একই উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে মো. রবি (৩৩) ও মৃত আসাদ মিয়ার ছেলে মো. শাহপরান (৩৪)।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের বহন করা গাড়ির চালক গ্রেপ্তার মো. সুমন হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে আসামিদের ব্যবহৃত একটি কালো হাইস গাড়িটি জব্দ করা হয়। এছাড়া চালক সুমনের বাসায় তল্লাশি করে দুর্বৃত্তদের ব্যবহৃত দুই জোড়া জুতা) ও ট্রাউজার জব্দ করা হয়। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামি মো. রবির দেওয়া তথ্যমতে একটি কালো বোরকা ও হিজাব জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, সৈয়দ কামরান, জেলা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়াসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার র্যাব-১১ এর একাধিক টিম ঢাকা ও চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এ মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামি মো. ইসমাইল, সোহেল শিকদার ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে দাউদকান্দির গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকার মসজিদ গলিতে জামাল হোসেনকে (৪০) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জামাল তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর ২ মে রাত সাড়ে ১১টায় জামালের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।