কোটচাঁদপুরে মাছ লুট, নৌকা ও জালে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা হলেও আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে
\ কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা \
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ফুলবাড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির জেলেদের নৌকা ও জালে আগুন দেয়ার ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে ৩ দিনের ব্যবধানে মডেল থানায় মৎস্যজীবিরা দুইটি মামলা দায়েরের পর ৭ দিন পার হলেও কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ আসামিদের ধরতে গড়িমিসি করায় মানববন্ধন করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন মৎস্যজীবিরা। জানা যায়, গত ৫ আগষ্ট সরকার বদলের পর থেকে কুশনা বাওড়ের মৎস্যজীবিদের নৌকা ও জালে দুই দফা আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে মাছ লুটও করে আসছিল দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলাও করেছেন সমিতির সভাপতি প্রশান্ত হালদার। তবে ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। যার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন মৎস্যজীবিরা। এ বিষয়ে ফুলবাড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে অব্যাহতভাবে তারা বাওড়ের মাছ লুট করে আসছিল। ওই মাছ লুটের ঘটনায় প্রথম ৪ জনের নাম সহ ১৮-২০ জনকে অজ্ঞাত করে কোটচাঁদপুর থানায় মামলাও করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন, কোটচাঁদপুরের এড়ান্দা গ্রামের মশিয়ার রহমান(৪০), রকি ইসলাম (৩৫), সবিজ হোসেন (৩২), জিয়ারুল ইসলাম (৩৪)। এরপর গত সোমবার (০২-০৯-২৪) রাতে আবারও বাওড়ের ২টি মাছ ধরা নৌকা ও ৯টি জালে আগুন ধরিয়ে দেন দূর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করা হয় কোটচাঁদপুর থানায়। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ২০-৩০ জনকে।
ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছে, রফিক (৪০), রেজাউল (৪৫), কালু (২৫), মোস্তফা (৪৫), ঠান্ডু (৫৫), শাহিন (৩০), আসাদ (৩২), দরবেশ (৬০), রহমান (৪২), আমির বুড়ো (৫০)মনির (২৮), রবিউল ইসলাম রবু (৪৩), সাইদুল (৪৫) মানিক (৩৬), জুড়ন (৪৬), সাজ্জাদ (৪৬)। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কোটচাঁদপুরের বহরমপুর গ্রামে। তবে দুই মামলার ২০ জন আসামির মধ্যে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মামলার আসামি ধরতে পুলিশের ধীরগতিতে মানববন্ধনের মত কর্মসূচী পালন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সভাপতি প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা সে সময় তারা (আসামিরা) তাদের জীবিকার শেষ সম্বল নৌকা আর জালে আগুন দিয়েছে। লুট করেছে বাওড়ের মাছ। এখন আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। লুট করা হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকার মাছ ও আগুন দিয়ে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে দাবি করেছেন তারা। এ ব্যাপারে মামলার আইও উপজেলার তালসার পুলিশ ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) নব-কুমার বলেন, মামলা নথিভুক্ত হবার পর আসামিদের বাড়িতে গিয়েছি। তারা কেউ বাড়িতে থাকেন না। আর আমি তাদের কাউকে চিনি না। বাদি যদি আসামিদের চিনতে সহায়তা না করেন তাহলে আমার আর কি করার আছে।