গত ২৪ ঘণ্টায় ইউক্রেনে যা ঘটলো
রাজধানী কিয়েভের শহরতলি ইরপিনে রুশ সৈন্যরা ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শহরের প্রশাসন জানিয়েছে নদীর ওপর বানানো অস্থায়ী সেতু দিয়ে ২ হাজার মানুষ শহর ছেড়ে চলে যেতে পেরেছে।
কিয়েভের কাছে আরেকটি ছোট শহর হোসটোমেলের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে রুটি এবং ওষুধ বিতরণের সময় গুলিতে শহরের মেয়র ইউরি প্রাইলিপকো মারা গেছেন। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হোসটোমেল এয়ারফিল্ডটি এই শহরের কাছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণে, মিকোলাইভ শহরটি নতুন করে রুশ হামলার মুখে পড়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে রাতে শহরের আবাসিক এলাকায় কামানের গোলা এসে পড়েছে। শহরটি ক্রাইমিয়া এবং ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর শহর ওডেসার মাঝামাঝি জায়গায়।
অবরুদ্ধ বন্দর শহর মারিউপোলে বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন। আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষ পানি ও খাদ্যের চরম সংকটে পড়েছে। শহর থেকে পালানো একটি পরিবারের সদস্যরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন “শহরের সর্বত্র মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।“
মারিউপোলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ক্রাইমিয়া এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক এবং দনিয়েৎস্কের মধ্যে সরাসরি স্থল যোগাযোগ তৈরি করতে সমর্থ হবে রাশিয়া।
এদিকে বেলারুশে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মত বৈঠকে বসেছিলেন রুশ এবং ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের ইউক্রেনীয় একজন উপদেষ্টা বলেন, মানবিক করিডোর খোলার বিষয়ে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা ‘সামান্য ইতিবাচক’ অগ্রগতি হয়েছে। তবে বৈঠকে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বৈঠকের আগে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দাবি মানা হলে মুহূর্তের মধ্যে সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে। অন্যদিকে, বৈঠকে ইউক্রেনের একজন প্রতিনিধি, মিখাইলো পোডোলিয়াক, বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।