চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে এই লি কিয়াং
দিন কয়েক আগেও লি কিয়াং নামটি চীনের বাইরে কম মানুষই জানত। অথচ তিনিই হলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পর চীনের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি কিয়াং। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বরাজনীতিতে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ওঠে এসেছেন তিনি। ১৯৮৩ সালে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন লি। তারপর একের পর এক নাটকীয় পরিবর্তন আসে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে। ইয়ংকাং শহরে কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদ লাভ করেন।
২০০৫ সালে প্রিভিন্সিয়াল পার্টির কার্যকরী পরিষদে যোগ দেন। সেই সময়ে শি জিনপিংয়ের সাথে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। জিয়াংসু প্রদেশে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হন ২০১৬ সালে। চীনের আঞ্চলিক পদগুলোর মধ্যে এই পদ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে থেকেছে।
২০১৭ সালে দলের ১৯তম সম্মেলনে তাকে সাংহাইয়ের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। সাংহাই চীনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরির কুঁড়েঘর। তার আগে বয়োজ্যেষ্ঠ অনেক নেতাই উঠে এসেছেন সাংহাই থেকে। চীনের জেইজিয়াং প্রদেশে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন লি কিয়াং। জেইজিয়াং এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮২ সাল অব্দি পড়াশোনা করেছেন এগ্রিকালচারাল মেকানাইজেশন নিয়ে। ১৯৮৭ সালে বেইজিং থেকে সোশিওলজি, ১৯৯৭ সালে জেইজিয়াং ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ২০০৪ সালে সেন্ট্রাল পার্টি স্কুল থেকে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক্স নিয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৫ সালে হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি থেকে লাভ করেন এমবিএ ডিগ্রি। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল অব্দি দলের প্রধান হয়ে জেইজিয়াং চালিয়েছেন শি জিনপিং। সেখানে তার চিফ অব স্টাফ ছিলেন লি। আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধিতে দল ও অঞ্চলকে একসাথে এগিয়ে নেন।
পরবর্তীতে শি জিনপিংয়ের তত্ত্বাবধানে লি শি এবং কাউ কি মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নিউ জিজিয়াং আর্মি’। বলে রাখা ভালো, শির আদর্শ অনুসারী ও ঘনিষ্ঠজনেরা এর অন্তর্ভুক্ত। তার অনেক সফরেরই সঙ্গী থাকতেন তিনি। অনেক বক্তব্য সম্পাদনা করে দিয়েছেন। অংশগ্রহণ করেছেন অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে।গত বছরে বহুল আলোচিত চীনের ‘জিরো-কোভিড’ নীতির জন্য পরিচিত লি। তীব্র প্রতিবাদ ও অভিযোগের সম্মুখীন হয়েও এই নীতিতে অটল থেকে প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যের প্রমান দেন তিনি।