চুয়াডাঙ্গায় সাড়ে ৪ কোটি টাকার ওষুধ খুঁজতে এস‌ছে তদন্ত কমিটি

Share Now..

শামসু‌জ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা প্রতি‌নি‌ধি:
চুয়াডাঙ্গায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ওষুধ ও চিকিৎসার অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে বরাদ্দ দেয়া দেয়া ১১
কোটি ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে সাড়ে চার কোটি টাকার হদিস না পাওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে স্বাস্থ্য
অধিদফতর।
রোববার (৬ জুন) বিষয়টি তদন্ত করতে চুয়াডাঙ্গায় আসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত
কমিটি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে তদন্ত।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনা পরিস্থিতিতে ওষুধ ও মেডিকেল সার্জিক্যাল
রিকয়ারমেন্টস (এমএসআর) দ্রব্যাদি কিনতে বরাদ্দ পাওয়া সাড়ে ৪ কোটি টাকার ওষুধ না আসার অভিযোগ
ওঠে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে। পরে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি
গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এতে প্রধান করা হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষকে। ৩ জুন
তদন্ত ক‌মি‌টি প্রধান একটি চিঠি দি‌য়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান, সদর
হাসপাতালের সাবেক আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), চার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা, ভাণ্ডার রক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাক‌তে বলা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটি ৬ জুন সকাল ১০ টায় তদন্ত
কার্য সম্পাদনের জন্য চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা ও
ভাণ্ডার রক্ষককে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় চুয়াডাঙ্গায় উপস্থিত হতে বলা হয়। ওই
সময় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ওষুধ ও এমএসআর সামগ্রী প্রাপ্তি সংক্রান্ত সব নথি, মজুদ বই সঙ্গে
আনার জন্য অনুরোধ করা হয়।

রোববার রাতে তদন্ত কমিটির প্রধান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র
ঘোষ সাংবাদিকদের সঙ্গে তদন্ত সম্পর্কে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা নিরূপণ
করতে আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত রিপোর্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *