জাপান থেকে ইবি অধ্যাপক মামুনসহ ৫ গবেষক দলের গ্রন্থ প্রকাশ

Share Now..

প্রতিবেদক, ইবি-

জাপানের হিরোশিমা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানসহ পাঁচ গবেষক দলের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। গত ০১ জুন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও-এর নেতৃত্বে ড. মামুনসহ জাপানের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৫জন গবেষক দলের গবেষনায় এ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

গ্রন্থটির পূর্ণ শিরোনাম হলো- আধুনিকীকরণের পুনরাবৃত্তি এবং বৈচিত্র: ফু’কুর “আর্কিওলোজি”র দৃষ্টিকোণ থেকে “প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্য” এর বিতর্কিত বিনির্মাণ বিশ্লেষণ। বিগত ৪বছর ধরে গবেষণা করে গবেষক দল এ গ্রন্থটি রচনা করেন। গ্রন্থটিতে প্রাচ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যের দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে বরং প্রাচ্যের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার উদ্দেশ্যে মিশেল ফু’কুর পোস্টস্ট্রাকচারালিস্ট তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে।

জানা যায়, অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমান ২০১৬ সাল থেকে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও-এর সাথে দ্বিতীয়বারের মত যৌথ গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। যা জাপানী শিক্ষা মন্ত্রনালয় মেক্সট এবং জাপানের উচ্চশিক্ষার অনুদান নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান জে.এস.পি.এস.কাকেনহি প্রজেক্টের আওতাধীন।

অধ্যাপক মামুন ঢাকাস্থ জাপানী দূতাবাসের নির্বাচনে জাপান সরকার প্রদত্ত মনবুকাগাকুশো বৃত্তির জন্য মনোনিত হয়ে ২০০৭ সালে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তিতে ২০১০ সালে প্রথমবাবের মতো তিন বছর অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও-এর সাথে প্রথম যৌথ গবেষণারত হন। ২০১৩ সালে হিরোশিমা থেকে তারা যৌথভাবে “বিদ্রোহীদের” প্রতিকৃতি: আধুনিকীকরণ এবং বৃটেন, ভারত ও জাপানে এর বিতর্কিত গঠন শিরোনামে বই প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে গবেষণা কাজের জন্য ভারতের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রমণ করেন। তিনি ইতিমধ্যে জাপানের আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।

প্রকাশিত গ্রন্থ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘প্রকাশিত গ্রন্থে আমি ভারত ও বাংলাদেশের জাতিগত পরিচয় নিয়ে কাজ করেছি। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে ধর্মনিরপেক্ষ জাতিগত পরিচয়ের ভীত রচিত হয়েছিল সেটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-নির্ভর জাতিগত পরিচয়ের মাধ্যমে কেমন করে শক্তিশালী হয়েছে তার একটা তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *