জিনজিয়াংয়ে ‘গণহত্যা’র সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা: চীন
গত ২৮ মে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেস টাইমসে প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়তে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ‘গণহত্যা’ ও লোকদের ‘জোরপূর্বক শ্রম’ করানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি এর প্রতিবাদে ২০২২ সালের বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক বয়কটেরও আহ্বান জানানো হয়। এবার সম্পাদকীয়র এমন লেখার তীব্র বিরোধীতা করে বিবৃতি দিয়েছেন লস এঞ্জেলেসে নিযুক্ত চীনা কনস্যুলেট জেনারেল। খবর প্রকাশ করেছে গ্লোবাল টাইমস।
বিবৃতিতে ‘সম্পাদকীয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি’ দাবি করে বলা হয়েছে, এটিতে সামান্যতম বিশ্বাসযোগ্যতা নেই এবং সেখানে মতাদর্শগত পক্ষপাত ফুটে উঠেছে। জিনজিয়াংয়ে কথিত ‘গণহত্যা’ রাজনৈতিক উদ্দেশে চীনকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা রাজনীতিবীদদের একটি পরিকল্পনা মাত্র।
সম্পাদকীয়তে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন নাকি জেরপূর্বক প্রায় ৮ মিলিয়ন লোককে বিভিন্ন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গেছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সত্যের লেশমাত্রও নেই। জিনজিয়াং সম্পর্কিত ইস্যুগুলো কেবল মানবাধিকার, জাতিগত বা ধর্মীয় নয়, বরং বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই। তাই কথিত গণহত্যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, যোগ করেন চীনা কূটনীতিক।
আসল সত্য হচ্ছে, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০ সালে তাদের মোট জনসংখ্যা ছিল ১০ দশমিক ১৭ মিলিয়ন। যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে এসে পৌঁছেছে ১২ দশমিক ৭২ মিলিয়ন। অর্থাৎ ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, অঞ্চলটিতে কোন ধরনের গণহত্যা হচ্ছে? উল্টো, জিনজিয়াংয়ে মানুষের জীবন রক্ষার আইনের আওতায় চীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী এবং ডি-রেডিক্যালাইজেশন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এখানে কোনো জোরপূর্বক শ্রম নেই, বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।