ঝিনাইদহে সম্রাট হত্যা মামলা সিআইডিতে প্রধান আসামি অধরা

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের চুটলিয়া গ্রামে সম্রাট হত্যার প্রধান আসামী সবুজ ২০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে বাদীর পরিবারে হতাশা নেমে এসেছে। হত্যার শিকার সম্রাট চুটলিয়া গ্রামের ছমির বিশ্বাসের ছেলে। এদিকে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। গত ২ মে রাতে বাড়ির থেকে ডেকে নিয়ে সবুজসহ তার সহযোগীরা সম্রাটকে গলাকেটে হত্যা করে। এদিকে সম্রাট হত্যা নিয়ে গ্রামের তৃতীয় পক্ষ আসামিদের বাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগি উঠেছে। এ নিয়ে চুটলিয়া গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হত্যা মামলার আসামি সেলিম বিশ্বাসের স্ত্রী মঞ্জুরা খাতুন জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার দিনে দুপুরে চুটলিয়া গ্রামের পান্নু, ঝন্টু, জামির, জমির, মুকুল, সাহেব আলীসহ ২০/২২ জন মিলে আমার ছেলে ছেলে আশার মুদি দোকান লুট করে। এ সময় ভাংচুর করা হয় তাদের বাড়িঘর। পাশ্ববর্তী গোলাপ ওরফে গুঙোর দুইটি পাকা বাড়ি ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে হত্যার ২০ দিন পার হলেও ৭ আসামির মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার মূল আসামি সবুজ, সাগর, আশা, আরিফ ও সেলিম বিশ্বাস এখনও পলাতক রয়েছে। মঞ্জুরা বেগম আরো জানান, লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুর হলে আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা বাড়িতে বসবাস করতে পারছি না। সুরাট ইউনিয়নের সদস্য মন্টু মেম্বার জানিয়েছেন, লুটপাট ও বাড়ি ভাংচুরের কথা আমি শুনেছি। আমরা সম্রাটের পরিবারকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা শুনছেন না। নিহত সম্রাটের পিতা ছমির বিশ্বাস জানিয়েছেন, সম্রাট নিহত হওয়ার পর আমি পাগল হয়ে গেছি। ছেলেটি আমার ভালো আয়রোজগার করতো। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) ও প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানিয়েছেন, মামলাটি সিআইডি নিয়ে গেছে। তারাই এখন তদন্ত করবে। তিনি বলেন আসামীদের ঘরবাড়ি ভাংচুরের তথ্যটি পুরোপুরি ঠিক নয়। গোয়ালের গরু লুট হলেও সেটি উদ্ধার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন পুলিশের কাছে মামলাটি থাকলে প্রধান আসামীসহ অন্যান্যরা এতো দিন গ্রেফতার করতে পারতাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *