ঝুঁকিতে থাকা ২০ হাজার আফগানকে আশ্রয় দেবে কানাডা
আফগানিস্তানে তালেবানদের প্রতিহিংসার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নারীনেত্রী, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকসহ ঝুঁকিতে থাকা অন্তত ২০ হাজারের বেশি আফগানকে আশ্রয় দেবে কানাডা। এসব মানুষদের নিয়ে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো। খবর এএনআই।
গতকাল শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মেনডিসিনো বলেন, কানাডা সরকারের জন্য কাজ করেছে হাজার হাজার আফগান। এদের কেউ কেউ দোভাষী, দূতাবাসের কর্মী। এর আগে তাদের পরিবারকে কানাডায় আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিলো। তার পাশাপাশি এবার এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু তালেবানরা আফগানিস্তানের অধিকতর এলাকা দখল করে চলেছে এবং এতে করে অনেক আফগানের জীবন ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে রয়েছে তাই এমন পদক্ষেপ।’
এ প্রসঙ্গে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হারজিত সজ্জন জানিয়েছেন, কানাডার কিছু সেনা আফগানিস্তানে মানুষজনকে স্থানান্তরের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে এখন যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা অত্যন্ত প্রকট।’
মেনডিসিনো আরও জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে ঝুঁকির মধ্যে যারা রয়েছেন তারাই আপাতত কানাডায় বসবাসের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন মানবাধিকারকর্মী, নারীনেত্রী, সাংবাদিক, নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সমকামীরা।
প্রতিরোধ ভেঙে পড়ছে আফগানিস্তানের সরকারিবাহিনীর। যা কারণে একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে তালেবান গোষ্ঠী। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি।
রাজধানী কাবুলের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে তালেবান যোদ্ধারা। শহরের দক্ষিণে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে তারা। সেখানে লোগার প্রদেশের কেন্দ্র পুল-ই-আলম দখল করেছে তালেবান। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিবিসিকে এসব জানিয়েছেন প্রাদেশিক আইন পরিষদের দুই সদস্য। এই শহরটির সঙ্গে কাবুলের সরাসরি সড়ক রয়েছে। এখন পুল-ই-আলমে চলছে তীব্র লড়াই।
এদিকে, তালেবানরা একের পর এক অঞ্চল এবং গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করে নেয়ায় রাজধানীতে নাগরিকরা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুক্রবার কয়েক হাজার সৈন্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে।