তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী

Share Now..


নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিএনপি দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের দাবি এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য, তাই এ নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই।’

সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ এট এ গ্ল্যান্স’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। সে সময়ে সরকারের আকার ছোট হবে না বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছে তারা সবাই থাকবে কিম্বা আমাদের শরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নেওয়া হবে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রী দেখবেন তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বিএনপি যদি সংসদে থাকতো হয়তো বা সে ক্ষেত্রে তাদেরও সুযোগ থাকতো।’

বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছে’ এ নিয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় দেশে আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অগ্নিসন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিধায় তারা এখন অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে, শুধু সন্ত্রাসী অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহৃত হচ্ছে না।’

গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক রেজা কিবরিয়া এবং সদস্য সচিব নূরুল হক নূরের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন এবং মামলা করা বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে রেজা কিবরিয়া এবং নূরুল হক নূরু কিছু কৌতুকের জন্ম দিয়েছে। তাদের কোনো জনভিত্তি নাই, তারা শুধু টেলিভিশনে আর নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়িতেই ব্যস্ত। জনগণের সাথে তাদের কোনো সংশ্রব নাই।’

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত কারণে তাদের দলের ভাঙ্গন যেমন তহবিল তছরূপ, কারো সাথে আঁতাত, বিদেশি কোনো শক্তি বা অপশক্তির সাথে মেলামেশা, অর্থ গ্রহণ এগুলো তাদের জন্য প্রচণ্ড অপমাননাকর। এবং তাদের এই বাহাস এটি রাজনৈতিক কৌতুক ছাড়া অন্য কিছু না।’

রেজা কিবরিয়ার বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগের সাথে নূরের আঁতাত ও নির্বাচনে আসার জন্য টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে’ এ বিষয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রেজা কিবরিয়া তো অনেক কথাই বলেছেন আবার নূরও রেজা কিবরিয়া সম্পর্কে অনেক কথাই বলেছেন। নূরের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ তো নানা সময়ে নানাজন করেছে। আমাদের দলের সাথে নূরের কোনো যোগাযোগ নাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নূরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন যে, নূর ইজরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সাথে বৈঠক করেছে, অন্তত তিনবার। সেটার কোনো কার্যকর প্রতি উত্তর নূরের কাছ থেকে আসে নাই। নূর এবং রেজা কিবরিয়ার সাম্প্রতিক বাহাস জনগণ উপভোগ করছে। এগুলো কৌতুক ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।’

এর আগে ‘বাংলাদেশ এট এ গ্ল্যান্স’ বইটি সম্পর্কে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটি মূলত বিদেশে আমাদের মিশনগুলোর চাহিদা পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশে যে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আছে এটা অনেকেই জানে না। পর্যটন, ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রেই দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলী সরকার বইটির মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিএনপি দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই তাদের দাবি এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য, তাই এ নিয়ে সংলাপের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই।’

সোমবার (৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ এট এ গ্ল্যান্স’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। সে সময়ে সরকারের আকার ছোট হবে না বর্তমানে যারা মন্ত্রিসভায় আছে তারা সবাই থাকবে কিম্বা আমাদের শরিকদের মধ্য থেকে কাউকে নেওয়া হবে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রী দেখবেন তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। বিএনপি যদি সংসদে থাকতো হয়তো বা সে ক্ষেত্রে তাদেরও সুযোগ থাকতো।’

বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য ‘সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় কাজে ব্যবহার করছে’ এ নিয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভালো কাজ করছে বিধায় দেশে আমরা জঙ্গি দমন করতে পেরেছি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের অগ্নিসন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিধায় তারা এখন অগ্নিসন্ত্রাস করতে পারছে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে, শুধু সন্ত্রাসী অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহৃত হচ্ছে না।’

গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক রেজা কিবরিয়া এবং সদস্য সচিব নূরুল হক নূরের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন এবং মামলা করা বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিতে রেজা কিবরিয়া এবং নূরুল হক নূরু কিছু কৌতুকের জন্ম দিয়েছে। তাদের কোনো জনভিত্তি নাই, তারা শুধু টেলিভিশনে আর নিজেদের মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়িতেই ব্যস্ত। জনগণের সাথে তাদের কোনো সংশ্রব নাই।’

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত কারণে তাদের দলের ভাঙ্গন যেমন তহবিল তছরূপ, কারো সাথে আঁতাত, বিদেশি কোনো শক্তি বা অপশক্তির সাথে মেলামেশা, অর্থ গ্রহণ এগুলো তাদের জন্য প্রচণ্ড অপমাননাকর। এবং তাদের এই বাহাস এটি রাজনৈতিক কৌতুক ছাড়া অন্য কিছু না।’

রেজা কিবরিয়ার বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগের সাথে নূরের আঁতাত ও নির্বাচনে আসার জন্য টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে’ এ বিষয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রেজা কিবরিয়া তো অনেক কথাই বলেছেন আবার নূরও রেজা কিবরিয়া সম্পর্কে অনেক কথাই বলেছেন। নূরের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ তো নানা সময়ে নানাজন করেছে। আমাদের দলের সাথে নূরের কোনো যোগাযোগ নাই।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নূরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে নিযুক্ত প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন যে, নূর ইজরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টের সাথে বৈঠক করেছে, অন্তত তিনবার। সেটার কোনো কার্যকর প্রতি উত্তর নূরের কাছ থেকে আসে নাই। নূর এবং রেজা কিবরিয়ার সাম্প্রতিক বাহাস জনগণ উপভোগ করছে। এগুলো কৌতুক ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়।’

এর আগে ‘বাংলাদেশ এট এ গ্ল্যান্স’ বইটি সম্পর্কে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এটি মূলত বিদেশে আমাদের মিশনগুলোর চাহিদা পূরণ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের দেশে যে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আছে এটা অনেকেই জানে না। পর্যটন, ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রেই দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গুরুত্বপূর্ণ। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া এবং পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলী সরকার বইটির মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *