দেড় বছর পর স্কুলে ফিরে শিক্ষার্থীদের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্কুলের মাঠ জুড়ে নির্মান সামগ্রী, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারী যানবাহন

Share Now..


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
দেড় বছর পর স্কুলে ফিরে শিশু শিক্ষার্থীদের কোমল মনে আতংকের ছাপ। ভয়ে কাঁপছে শরীর। কারণ তাদের স্কুল মাঠে বিকট আওয়াজ তুলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ভারী সব যানবাহন। পুরো খেলার মাঠ বেদখল। মাঠে রাখা হয়েছে নির্মান সামগ্রীর বিশাল স্তুপ। করোনার বৈশ্যিক মহামারির কারনে দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার গতকাল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর ঝিনাইদহের শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ছিল অন্য রকম একটি দিন। জেলার অন্য সব স্কুলে সাজ সাজ রব থাকলেও তাদের মনে ছিল না কোন উচ্ছাস। স্কুলের মাঠে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পাহাড় সমান নির্মান সামগ্রী উৎসবে বাধা হয়ে দাড়ায়। গত ৮ সেপ্টম্বর তারিখের মধ্যে বিদ্যালয় মাঠ পরিস্কারের নির্দেশনা দিলেও সরেনি ধলহরাচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে ঠিকাদারের নির্মান সামগ্রী। ফলে স্কুল খোলার প্রথম দিনেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ও দূর্ঘটনার শংকা নিয়েই স্কুলে যেতে হয় স্কুলটির কয়েকশ শিশু শিক্ষার্থীদের। স্কুলের শিক্ষক ও এলঅকাবাসি জানায়, ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের শেখপাড়া ভায়া শৈলকুপা-লাঙ্গলবাধ ২৬ কি.মি সড়কের নির্মানের কার্যাদেশ পান মিজানুর রহমান এন্ড মাইনুদ্দিন বাঁশি জেভি। সড়কটির নির্মান ব্যায় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি টাকা। কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে ধলহরাচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয় নির্মান সামগ্রী। রোববার সরেজমিনে দেখা যায় সড়ক নির্মানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বালি, মাটি, ইট, খোয়া ও পাথরের বিশাল স্তুপ রয়েছে স্কুল মাঠে। সেই সঙ্গে স্কুল মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নির্মান সামগ্রী আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ভারী যানবাহন। অভিভাবকরা জানান, এ ভাবে চলতে থাকলে স্কুল ক্যাম্পাসে দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। ধলহরাচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানা জানান, তার স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক। করোনার কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের মাঠ দখলে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, স্কুল ক্যাম্পাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নির্মান সামগ্রীর বিশাল স্তুপের ঘটনাটি তিনি ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়েছেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমান মাসুম বলেন আমি ঢাকায় আছি, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *