নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীদের কৌশল বদল স্ত্রী ও সন্তানরা মাঠে
স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহ:
গত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন না দেওয়ায় এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর স্ত্রীদেরকে মাঠে নামানো হচ্ছে। স্ত্রী ছাড়াও অনেকেই কৌশল বদলে নিজের বদলে নিজের ছেলে, ভাই ও কাছের লোকের সিভি জমা দিচ্ছেন কেন্দ্রে। ঝিনাইদহের হরিশংকরপুর ইউপি নির্বাচনে হটাৎ শামসুন্নাহার নামের এক প্রার্থীর প্রচারণা নজর কেড়েছে ভোটারদের। ফেসবুকেও প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে তাকে। শামসুন্নাহার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের স্ত্রী ও আস্ সুন্নাহ ট্রাস্টের মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ নিজেও রয়েছেন ভোটের মাঠে। কিন্তু ২০১৬ সালের প্রথম দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয় না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০২১ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবে না এমন নির্দেশনার পর নিজের পরিবর্তে স্ত্রীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমনটি মনে করছেন ভোটাররা। গণসংযোগে তিনি সদর উপজেলার ১০ নং হরিশংকরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেন। এ নিয়ে কথা উঠলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার ফারুজ্জামান ফরিদ। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে নাম নেই তার। এই বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি নূর জাহান বেগম (সাবেক এমপি) জানান, আমি ৭৫ সালের পর থেকে মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে আছি। এই জেলায় প্রত্যেকটা সম্মেলনে আমি গিয়েছি। মহিলা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছি। ২০০৩-০৪ সালে সদর উপজেলার কমিটিগুলো করা হয়। এর পরে আর কোন কমিটি করা হয়নি। শামসুন্নাহার হরিশংকরপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নয়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজিয়া সুলতানা শম্পা ও সাধারণ সম্পাদিকা নাহিদ কাইয়ুম রঞ্জু জানিয়েছেন, এই ইউনিয়নে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৪ সালে। শামসুন্নাহার এই ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নয়। তবে কারা এই কমিটি চালাচ্ছেন তাও তারা বলতে পারেন নি। এই বিষয়ে শামসুন্নাহার জানান, তিনিই ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ফলে এবার নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান।