বঙ্গবাজারের আগুনের তাপ এখন যশোরের ঈদ বাজারে

Share Now..

এস আর নিরব, যশোরঃ
দেশের পোশাকের অন্যতম বড় পাইকারি মার্কেট ঢাকা বঙ্গবাজার। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগে যশোরের অসাধু পোশাক ব্যবসায়ীরা পোশাকের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন রাতারাতি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলছেন প্রতিটি ভারতীয় থ্রিপিচ ও পুরুষদের পোশাকের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তবে দোকানিরা বলছেন কিছুটা প্রভাব পড়েছে, তবে তা দ্বিগুণ না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদেশি ও জেন্স আইটেমের পোশাকে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ঈদ কেন্দ্রিক পোশাকের বিক্রি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে অর্থাৎ পনেরো রোজার পর থেকে ঈদের মূল বেচাকেনা শুরু হতে পারে। ঈদের মূল বিক্রি শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে বঙ্গবাজারের আগুন ঈদ বাজারে কতটা প্রভাব ফেলছে।

যশোর কালেক্টরেট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মঙ্গলবারের ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে ঢাকা বঙ্গবাজারের দোকানগুলো। ঈদের আগে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড যশোর ঈদ বাজারে বড় প্রভাব ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু যশোরের বেশিভাগ ব্যবসায়ীরাই বঙ্গবাজারের পোশাকের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ভারতীয় পোশাক ও ছেলেদের পোশাকের জন্য। ঈদ উপলক্ষে খুচরা ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে দোকানে নতুন পণ্য উঠিয়েছেন। কিন্তু সব পণ্য এক সঙ্গে তোলা সম্ভব হয় না। বিক্রি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পুনরায় পণ্য নিয়ে আসা হয়।

ঈদের শপিং করতে আসা পুলেহাট এলাকার জিহাদ হাসান বলেন, পরিবারের জন্য তৃতীয় রোজায় আংশিক ঈদের কেনাকাটা করেছিলাম। কেনাকাটা করতে এসে তো চোখ কপালে। যেহেতু গতদিন যে পোশাকের দাম ছিলো সাতশত থেকে একহাজার টাকা, সেই পোশাকই এখন চাচ্ছে ১২শ টাকা। কারণ জানতে চাইলে দোকানিরা জানিয়েছেন নতুন যে পণ্য আসছে তার দাম ২০-৩০শতাংশ বেড়েছে। তাই তারাও নাকি বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছে। দোকানিদের কথা শুনে মনে হচ্ছে বঙ্গবাজারের আগুনের তাপ এখন যশোরের ঈদ বাজারে। একই কথা জানিয়েছেন চৌগাছা থেকে আসা নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা।

ঢাকা বঙ্গবাজারের এই আগুনের ঘটনা যশোরের ঈদ বাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চাইলে শহরের কালেক্টরেট মার্কেটের ব্যবসায়ী সাগর আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবাজার দেশের অন্যতম বড় পাইকারি মার্কেট। কালেক্টরেট মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বঙ্গবাজার থেকে পণ্য কেনেন। ওই মার্কেটে আগুন লাগা স্বাভাবিকভাবেই ঈদ বাজারে প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও অনেকে ঢাকা ইসলামপুর ও কেরানীগঞ্জ থেকেও মালামাল সংগ্রহ করেন। ভারতীয় পোশাকের জন্য বঙ্গবাজারে যেতে হয়। তাছাড়া জিন্স প্যান্ট ও ছেলেদের পোশাকও বঙ্গবাজার থেকে সংগ্রহ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সুতরাং এবার এসব পোশাকের দাম বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ঈদ বাজারে পোশাকের সংকটও দেখা দিতে পারে। শহরের অন্যতম বড় মার্কেট এইচএমএম রোড। এখানকার দোকানিরাও পোশাকের দাম বাড়িয়েছেন। রবিউল ইসলাম নামে এক দোকানী জানান, বঙ্গবাজার থেকে কিছু পণ্য আমাদের এখানে আসে। যেকারণে দাম বেড়ে গেছে।বঙ্গবাজারের আগুনের তাপ এখন যশোরের ঈদ বাজারে

এস আর নিরব, যশোরঃ
দেশের পোশাকের অন্যতম বড় পাইকারি মার্কেট ঢাকা বঙ্গবাজার। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর এই সুযোগে যশোরের অসাধু পোশাক ব্যবসায়ীরা পোশাকের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন রাতারাতি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

ক্রেতারা বলছেন প্রতিটি ভারতীয় থ্রিপিচ ও পুরুষদের পোশাকের দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তবে দোকানিরা বলছেন কিছুটা প্রভাব পড়েছে, তবে তা দ্বিগুণ না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদেশি ও জেন্স আইটেমের পোশাকে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ঈদ কেন্দ্রিক পোশাকের বিক্রি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে অর্থাৎ পনেরো রোজার পর থেকে ঈদের মূল বেচাকেনা শুরু হতে পারে। ঈদের মূল বিক্রি শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে বঙ্গবাজারের আগুন ঈদ বাজারে কতটা প্রভাব ফেলছে।

যশোর কালেক্টরেট ব্যবসায়ীরা বলছেন, মঙ্গলবারের ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে ঢাকা বঙ্গবাজারের দোকানগুলো। ঈদের আগে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড যশোর ঈদ বাজারে বড় প্রভাব ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। যেহেতু যশোরের বেশিভাগ ব্যবসায়ীরাই বঙ্গবাজারের পোশাকের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ভারতীয় পোশাক ও ছেলেদের পোশাকের জন্য। ঈদ উপলক্ষে খুচরা ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে দোকানে নতুন পণ্য উঠিয়েছেন। কিন্তু সব পণ্য এক সঙ্গে তোলা সম্ভব হয় না। বিক্রি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পুনরায় পণ্য নিয়ে আসা হয়।

ঈদের শপিং করতে আসা পুলেহাট এলাকার জিহাদ হাসান বলেন, পরিবারের জন্য তৃতীয় রোজায় আংশিক ঈদের কেনাকাটা করেছিলাম। কেনাকাটা করতে এসে তো চোখ কপালে। যেহেতু গতদিন যে পোশাকের দাম ছিলো সাতশত থেকে একহাজার টাকা, সেই পোশাকই এখন চাচ্ছে ১২শ টাকা। কারণ জানতে চাইলে দোকানিরা জানিয়েছেন নতুন যে পণ্য আসছে তার দাম ২০-৩০শতাংশ বেড়েছে। তাই তারাও নাকি বাধ্য হয়ে দাম বাড়িয়েছে। দোকানিদের কথা শুনে মনে হচ্ছে বঙ্গবাজারের আগুনের তাপ এখন যশোরের ঈদ বাজারে। একই কথা জানিয়েছেন চৌগাছা থেকে আসা নজরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা।

ঢাকা বঙ্গবাজারের এই আগুনের ঘটনা যশোরের ঈদ বাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চাইলে শহরের কালেক্টরেট মার্কেটের ব্যবসায়ী সাগর আহম্মেদ বলেন, বঙ্গবাজার দেশের অন্যতম বড় পাইকারি মার্কেট। কালেক্টরেট মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা বঙ্গবাজার থেকে পণ্য কেনেন। ওই মার্কেটে আগুন লাগা স্বাভাবিকভাবেই ঈদ বাজারে প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও অনেকে ঢাকা ইসলামপুর ও কেরানীগঞ্জ থেকেও মালামাল সংগ্রহ করেন। ভারতীয় পোশাকের জন্য বঙ্গবাজারে যেতে হয়। তাছাড়া জিন্স প্যান্ট ও ছেলেদের পোশাকও বঙ্গবাজার থেকে সংগ্রহ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সুতরাং এবার এসব পোশাকের দাম বেড়ে যেতে পারে। এমনকি ঈদ বাজারে পোশাকের সংকটও দেখা দিতে পারে। শহরের অন্যতম বড় মার্কেট এইচএমএম রোড। এখানকার দোকানিরাও পোশাকের দাম বাড়িয়েছেন। রবিউল ইসলাম নামে এক দোকানী জানান, বঙ্গবাজার থেকে কিছু পণ্য আমাদের এখানে আসে। যেকারণে দাম বেড়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *