মহাকাশে শুটিং শেষে ফিরলেন নায়িকা ও পরিচালক

Share Now..


শুটিং সেরে মহাকাশ থেকে নির্বিঘ্নে পৃথিবীতে ফিরে এলেন নায়িকা ইউলিয়া পেরেসিল্ড ও পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো। গত ১২ দিন ধরে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এ শুটিং করছিলেন। এই প্রথম বার সেটের বদলে সত্যি সত্যিই মহাকাশে শুটিং হল কোনও ছবির।

রুশ অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড (৩৭), প্রযোজক-পরিচালক ক্লিম শিপেঙ্কো (৩৮) এবং মহাকাশচারী ওলেগ নোভিত্‍স্কিকে নিয়ে আজ স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কাজ়াখস্তানের ‘রিকভারি সাইটে’ নেমে আসে সয়ুজ় এমএস-১৮ মহাকাশযানের রি-এনট্রি মডিউল। বার করে আনা হয় তিন যাত্রীকে। ‘দ্য চ্যালেঞ্জ’ ছবির ইউনিট সেই সব দৃশ্যও তুলে রেখেছে ক্যামেরায়। সেটাও তো ছবিরই অংশ! আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে এই প্রত্যাবর্তনে সময় লেগেছে সাড়ে তিন ঘণ্টা।

নাসা এবং এলন মাস্কের ‘স্পেস এক্স’ সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে গত বছর হলিউডের একটি ছবির কথা ঘোষণা করেছিলেন অভিনেতা টম ক্রুজ়। সব ঠিকমতো চললে অন্য রকম এক মহাকাশ-যুদ্ধে ‘মিশন ইম্পসিবল’-এর নায়ক, তথা আমেরিকাকে টেক্কা দিতে চলেছে রাশিয়া। অসুস্থ এক মহাকাশচারীকে বাঁচাতে আম্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাড়ি দেওয়া এক চিকিত্‍সকের চরিত্রে অভিনয় করছেন ইউয়ুলিয়া। অসুস্থ মহাকাশচারীর চরিত্রে নোভিত্‍স্কি স্বয়ং, যিনি গত ছয় মাস ধরে মহাকাশ কেন্দ্রেই ছিলেন। এ ছাড়া আরও এক মহাকাশচারী অভিনয় করেছেন এই ছবিতে।
শুটিং করতে গিয়ে পর্দার মতো বাস্তবের চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছে ফিল্ম ইউনিট। গত ৫ অক্টোবর ইউলিয়াদের নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির বদলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মহাকাশযানটিকে মহাকাশ কেন্দ্রে সংযুক্ত করতে বাধ্য হন কমান্ডার আন্তন শ্কাপলেরভ। আবার গত শুক্রবার ফিরতি যাত্রার জন্য সয়ুজ় এমএস-১৮ যানটিকে পরীক্ষা করার সময়ে আচমকা সেটির ‘থ্রাস্টার’ চালু হয়ে যায়। কেঁপে ওঠে গোটা মহাকাশ কেন্দ্র। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে সেটি আবার ঠিক হয়।

ফিরে এসে ইউলিয়া বলেছেন, ”বারোটা দিন কম নয়। তবু কাজ শেষ হওয়ার পরেও ফিরতে ইচ্ছে করছিল না।” এখন পৃথিবীর মাটিতেও অনেকটা শুটিং বাকি। শোনা যাচ্ছে, সিকুয়েলও হবে এই ছবির। সে বার যাবতীয় কাণ্ডকারখানা ঘটবে মঙ্গলগ্রহে। তার শুটিং কোথায় হয়, সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *