যশোরে করোনা আক্রান্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৯১, মৃত্যু ৪

Share Now..

যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ

যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ২৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তেদের মধ্যে ৯জন ভারত ফেরত। এটি জেলায় একদিনের সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। এছাড়া মারা গেছেন ৪জন। উচ্চ ঝুঁকির কারণে যশোরের পাঁচ পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে লকডাউন সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে লকডাউন কার্যকরভাবে মানছে না সাধারণ মানুষ। এদিকে প্রশাসন বলছে লকডাউন কার্যকর করতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে। সেইসাথে জনগণকেও সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।

স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ৬০৬জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯১জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। আজ মারা গেছেন ৪জন। এদের মধ্যে দুইজন করোনা রোগী এবং অপর দুইজন করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে১০৮ জন।

শুক্রবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে ২৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৫৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে তাদের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। আর যশোর জেনারেল হাসপাতালে অ্যান্টিজেন্ট পরীক্ষা করে করোনা ধরা পড়েছে আরো ৪৪ জনের। এছাড়া নতুন করে মারা গেছেন আরো চারজন।

এই নিয়ে গত সাতদিনে যশোরে এক হাজার ৪৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৪ জন।

যবিপ্রবি থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় যশোরের ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৭ জনের, মাগুরার ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের ও নড়াইলের ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।

এর আগে যশোরে গত ১২ জুন করোনা আক্রান্ত হন ১৫০ জন। এছাড়া, ১৩ জুন আক্রান্ত হন ৯২ জন, মারা যান পাঁচজন, ১৪ জুন আক্রান্ত হন ২৪৯ জন, মারা যান তিনজন, ১৫ জুন আক্রান্ত হন ২৩৫ জন, মারা যান পাঁচজন, ১৬ জুন আক্রান্ত হন ২০৬ জন, মারা যান চারজন, আর ১৭ জুন আক্রান্ত হন ২০৩ জন ও মারা যান তিনজন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, করোনার শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আর একটি করোনা ডেডিকেটেট হসপিটাল প্রস্থত করা হয়েছে। সদর হসপিটালে করোনা রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেলে হস্তান্তর শুরু করা হবে।

অবশ্য প্রশাসন বলছে, লকডাউন কার্যকরে সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংক্রমন ঠেকাতে আরো কঠোরতা আরোপ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *