যশোরের করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে, আক্রান্ত ২৮১, মৃত্যু ৫
যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরের করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে । আজ যশোরে আক্রান্ত ২৮১, মৃত্যু ৫ । যশোরে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে রূপ ধারণ করছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার ২৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এদের মধ্যে দু’জন রেডজোনে ও তিন জনের ইয়োলোজোনো মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের উপর সরকার কঠোরতা অবলম্বন করছে। ইতোমধ্যে লগডাউন চলছে জেলায় জেলায়।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৬৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২০২ জন। এছাড়া, কেশবপুরে ১০, ঝিকরগাছায় ১৮, অভয়নগরে ৯, মণিরামপুরে ১৮, শার্শায় ৪ ও চৌগাছায় ৪ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৩৬৫ জন। সুস্থ হয়েছে ৭,৪৬৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রেডজোনে ২ জন ও ইয়োলোজোনে ৩ জন। বর্তমান রেডজোনে ৯৯ জন ও ইয়োলোজোনো ৫১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা থাকলেও তা ব্যবহারে বাড়ছে অনীহা। শ্বাস নিতে কিছুটা সমস্যা এবং মাস্ক ব্যবহারে মুখ বন্ধ হয়ে থাকার কারণে অনেকেই মুখে মাস্ক না ব্যবহার করে মুখের নিচে দিয়ে রাখছেন।
শহরের দড়াটানা মোড়ে আখের রস বিক্রেতা বজলুর রহমান জানান, তার এমনিই শ্বাস কষ্টের সমস্যা। তারপরও কাজ করে খেতে হয়। তাই মাস্ক ব্যবহার করতে পারি না।
ইজিবাইক চালক মিজা জানান, করোনাভাইরাসের প্রথম দিকে সবাই মাস্ক ব্যবহার করতে খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই মাস্কই ব্যবহার করেন না। মাস্ক ব্যবহার করলে তার দম বন্ধ হয়ে আসে।
রিকশাচালক তবিবর রহমান জানান, মাস্ক মুখে দিয়ে রিকশা চালালে অনেক সময় দম লেগে যায়। মনে হয় আর চালাতে পারবো না। এজন্যে অনেক সময় মাস্ক মুখের নিচে দিয়ে রাখি।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মুখে মাস্ক সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে আক্রান্তের ঝুঁকি অবশ্যই বাড়বে। কেননা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। মাস্ক ব্যবহারে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণে সমস্যা ছাড়া আরও কিছু সমস্যা হয়। কষ্ট হলেও নিজে, নিজের পরিবার ও সকলের নিরাপত্তার জন্যে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তিনি সকলকে সচেতন থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।