যশোর সরকারি মহিলা কলেজের ১২৭ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা আত্মসাত

Share Now..

যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ

যশোর সরকারি মহিলা কলেজের ১২৭ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক কম্পিউটার দোকানির বিরুদ্ধে। পরীক্ষার ফরম পুরনের টাকা জমা না হওয়ার কারনে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের ১২৭ জন শিক্ষার্থীর অনার্স দ্বিতীয়বর্ষের পরীক্ষা দেওয়া ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনলাইনে তাদের ফরম পূরণের কোন টাকাই জমা হয়নি। এক কম্পিউটার দোকানি ফরম পূরণ না করে সমুদয় টাকা হজম করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত আসলাম নামে ওই কম্পিউটার দোকানিকে আটক করেছে। আটক আসলাম চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের আনার হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে, রাত পৌঁনে ১১ টায় কলেজ অধ্যক্ষ ডক্টর প্রফেসর আহসান হাবীব জানান,‘টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে (আজ শুক্রবার) টাকা উদ্ধার হবে। তখন ফরম পূরণ করা সম্ভব হবে এবং পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরম পূরণ সংক্রান্ত তথ্য পাঠায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তখন দেখা যায় ১২৭ জন পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষের সন্দেহ হয়। তখন কলেজ থেকে ওইসব পরীক্ষার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে ফরম পূরণ করেছে। জবাবে পরীক্ষার্থীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের আসলাম ডটকম নামে একটি কম্পিউটারের দোকানের কথা জানায়। অথচ আসলাম ওইসব পরীক্ষার্থীর টাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টে জমা দেননি।
বিষয়টি কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাত সাড়ে আটটার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে আসলাম নামে ওই কম্পিউটার দোকানিকে আটক করে।

কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আহসান হাবীব জানান, প্রথমে অনার্স বাংলা বিভাগের তিনজন পরীক্ষার্থীর টাকা জমা হয়নি বলে জানতে পারেন। এরপর দর্শনে একজন, ভূগোলে একজন, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ব্যাপক সংখ্যক পরীক্ষার্থীর টাকা জমা হয়নি। তখন একজন পরীক্ষার্থীর কাছে টাকা জমা না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানান। ওই পরীক্ষার্থী আসলামের কাছে টাকা জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আরও নিশ্চিত হতে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে ফোন করে। ওইসব পরীক্ষার্থীও আসলামের কাছে ফরম পূরণের টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়। আটক আসলাম পুলিশের কাছে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *