যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া থেকে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠালো ফ্রান্স
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোট গঠনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্স। সে ঘটনায় এবার যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠালো তারা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এ প্রসঙ্গে ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-ইভেস লে ড্রায়ানস জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিত্র দেশ থেকে রাষ্ট্রদূত ডেকে পাঠানোর ঘটনা খুবই বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ফ্রান্স এবারই প্রথম এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলো। অস্ট্রেলিয়া থেকেও ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর প্রথম ঘটনা এটি।
গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ফ্রান্স এখনও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশিদার। অনেক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ফ্রান্সের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার উপায় খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্লিনকেন বলেন, আমরা খুবই জোরের সঙ্গে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরে ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা ন্যাটো, ইইউ এবং অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার উপায় খুঁজছি। তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রদের মধ্যে মিত্রতার সম্পর্ক গড়ার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশিদার এবং ভবিষ্যতেও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে দুই দেশ।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পিঠে ছুরি মারার অভিযোগ এনেছে ফ্রান্স। ক্ষুব্ধ ফ্রান্সকে শান্ত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাঁও লিজিয়ান বলেছেন, এই জোট আঞ্চলিক শান্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে জোরদার করছে। দেশ তিনটি তাদের নিজেদের স্বার্থেরও ক্ষতি করছে।