যে ইতিহাস ডাকছে লাওতারো মার্টিনেজকে
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এর আগে কখনো গোল করতে পারেননি লাওতারো মার্টিনেজ। পরশু ইন্টার মিলান ও এসি মিলানের মধ্যকার সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে সেই আফসোস মুছে গেছে আর্জেন্টাইন তারকার। পরশু সান সিরোতে তার একমাত্র গোলেই জিতেছে ইন্টার মিলান। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ অগ্রগামিতা নিয়ে ইন্টার দীর্ঘ ১৩ বছর পর উঠে গেছে ফাইনালে। আর ইন্টারের এই ফাইনালে উঠাই লাওতারো মার্টিনেজের সামনে খুলে দিয়েছে আরেকটি রেকর্ডের দরজা। আর্জেন্টাইনকে হাতছানি দিচ্ছে অনন্য এক রেকর্ডের অংশীদার হওয়ার।সেই অনন্য রেকর্ডটা কী? একই মৌসুমে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ এবং ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়। আগামী ১০ জুন তুরস্কের ইস্তান্বুলে ফাইনালে খেলবে ইন্টার। সেই ফাইনালে ইন্টার জিতলেই ইতিহাসের দ্বাদশ এবং প্রথম আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় হিসেবে কীর্তিটা গড়ে ফেলবেন লাওতারো মার্টিনেজ।
হ্যাঁ, ইতিহাসে এ পর্যন্ত ১১ জন সৌভাগ্যবান ফুটবলার এই কীর্তি গড়েছেন। এর মধ্যে সাত জনই কীর্তিটা গড়েন ১৯৭৪ সালে। দেশ পশ্চিম জার্মানির হয়ে ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জেতা এই সাত জন ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়েও জিতেছিলেন ইউরোপিয়ান কাপের শিরোপা। বর্তমানের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগই ছিল তখন ইউরোপিয়ান কাপ। অবশ্য এই সাত জন পরের বছরও ক্লাব বায়ার্নের হয়ে ইউরোপ-সেরা হন। ইউরোপিয়ান কাপ, বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান কাপ—টানা তিন শিরোপা জেতা জার্মানির সেই ভাগ্যবান সাত ফুটবলার হলেন সেপ মেয়ার, কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, হানস-গিয়োর্গ শোয়ারজেনবেক, উলি হোয়েনেস, ইয়ুপ কাপেলমান ও কিংবদন্তি জার্ড মুলার। পরের চার জন বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন।
১৯৯৮ সালে দেশ ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২০০২ সালে দেশ ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা কিংবদন্তি রবার্তো কার্লোস ঐ রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ২০১৪ সালে দেশ জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ জেতা স্যামি খেদিরা রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশ ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা রাফায়েল ভারানে ঐ রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা।