শাশুড়ি মা কোনোদিন আমাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দেননি: শুভশ্রী
দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের তিন বছর পার করে ফেললেন কলকাতা বাংলা সিনেমার নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের ঘরে এসছে একটি পুত্র সন্তান। স্বামী-সন্তান ও পরিবার নিয়ে এখন সুখেই আছেন এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি সংসার-ক্যারিয়ারের অনেক বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে।
শুভশ্রী বলেন, ‘যে নিজে মা হয়নি, সন্তানের জন্ম দেয়নি, প্রথমবার সন্তানকে কোলে নেয়নি- তাকে এই অনুভূতি বোঝানো খুবই মুশকিল। ইউভান আমার এই সব স্বপ্ন পূরণ করেছে। তাই ইউভানের মতো দামি আমার জীবনে আর কেউ নয়।’
মায়ের ভূমিকা নিয়ে তার সাফ জবাব, যে কোনও নারীকেই জীবনে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তিনিও ব্যতিক্রম নন। কখনও সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগে প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে, কখনও আবার অভিনেত্রীর মা হওয়ার জন্য বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ে ধেয়ে আসা কটাক্ষের সঙ্গে।শুভশ্রীর ব্যস্ততার প্রভাব পড়েছে ছেলের ওপরও। ছোট পর্দার রিয়্যালিটি শোয়ে মাকে দেখে চিনতে পারছে সে। শুভশ্রীর অনুরাগীরাও ইউভানকে আপন করে নিয়েছেন। শুভশ্রী উপভোগ করেন যখন কারিনা কাপুর খানের ছবিতে তার কোলে ছেলে তৈমুরের চেহারায় সযত্নে বসিয়ে দেওয়া হয় ইউভানের মুখ। রাগের বদলে গলা ছেড়ে হাসতে হাসতে অনায়াসে বলে ওঠেন, ‘ভালোই তো, আমার ছেলে জাতীয় স্তরের তারকা হয়ে গেল! রাজ আর আমি এটা নিয়ে খুব মজা করি।
মা হওয়ার মুহূর্তে মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন শুভশ্রী। ইউভানের জন্মের কিছু দিন আগেই প্রয়াত হন তার শ্বশুর কৃষ্ণশঙ্কর চক্রবর্তী। আজও সে কথাa ভুলতে পারেননি শুভশ্রী। বলেন, ‘বাবা আমাকে খুব ভালবাসতেন। শ্রদ্ধাও করতেন। আমার সঙ্গে সব কথা ভাগ করে নিতেন। বাবা যে আমাদের মধ্যে নেই, সেটা এখনও বিশ্বাস করতে পারি না।’
শাশুড়ির কথাও বলতে ভুললেন না শুভশ্রী। অভিনেত্রী জানালেন, শাশুড়ি মা কোনওদিন তাকে রান্নাঘরে পর্যন্ত ঢুকতে দেননি। শুভশ্রী কথায়, ‘এক গ্লাস জল চাইলেও মা রাজের কাছে চান। আমাকে কোনও দিন বলেননি এক গ্লাস জল এনে দাও।’