শৈলকুপায় বখাটেদের অত্যাচারে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
শৈলকুপা প্রতিনিধি : বখাটেদের অত্যাচারে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল কুলসুম খাতুন(১৭) নামের এক স্কুল ছাত্রী। এমনটি অভিযোগ করেছে হতভাগা কুলসুমের রিক্সাচালক বাবা। তার অভিযোগ প্রতিবেশী তিন বখাটে নিজ ঘরে তার মেয়েকে ঘরে একলা পেয়ে লাঞ্চিত করার ফলে লোক লজ্জার ভয়ে সে বিষপান করে। ঘটনাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপার ছোটধলহরা গ্রামে।কুলসুম ছোটধলহরা গ্রামের মো: আততাফ শেখের মেয়ে ও বরিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
কুলসুমের বাবা আততাফ শেখ বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী গ্রামে মেয়েকে দাদা দাদীর কাছে রেখে চট্রগ্রাম রিক্সা চালিয়ে জীবিকা অর্জন করেন। গত ২৮ মে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে একই গ্রামের প্রতিবেশী সাকামত মল্লিকের ছেলে মিন্টুমল্লিক(৪৫), গোলাম মোস্তফার ছেলে কিবরিয়া ও মজনু শিকদারের ছেলে রাজন শিকদার ঘরে একলা পেয়ে তাকে লাঞ্চিত করে। সেদিন রাতে তার দাদী বাড়ি ছিল না। তখন কুলসুমের দাদা কবুল শেখ প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ কথা বখাটেদের পরিবারকে জানালে পরের দিন সকালে তিন বখাটের পরিবারের সদস্যরা পূনরায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলে সে বিষপান করে। বিষপান করার পর কুলসুমকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে বুধবার রাতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।তার দাবি প্রতিবেশী তিন যুবকের অত্যাচারে তার মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তিনি এর বিচার চান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম সুজায়েত হোসেন জানান পোকামাকড় ও ঘাসমারা বিষ খেয়ে কুলসুম নামের এক শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ৪টার দিকে তার দাফন সম্পূর্ণ হয়।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কুলসুমের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। কুলসুমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ দিলে তদš Íকরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।