শৈলকুপায় যুব সমাজের উদ্যোগে দূর্ভোগ লাঘবে নদীর উপর কাঠের দৃষ্টিনন্দন সাঁকো
, শৈলকুপা প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দিগনগর ও ত্রিবেনী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে কালী নদী। নৌকা পারাপারই এই এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ব্যবস্থা। যুগের পর যুগ কালী নদী এ দুই ইউনিয়নের মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছে। পাশাপাশি অবস্থান করলেও একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে উঠেনি। শিক্ষা-দীক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছে এ দুই জনপদের মানুষ। তাই যুব সমাজের উদ্যোগে দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘবে নদীর উপর তৈরী করা হয়েছে কাঠের এই সাঁকোটি।
জানা যায়, প্রায় ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁশ , কাঠ ও হরেক রকমের রং দিয়ে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের যুব সমাজ স্ব-উদ্যোগে এই সাঁকোটি তৈরি করা হয়েছে । কয়েকমাস ধরে রাতে দিনে পরিশ্রম করে এই সাকোটি নদীর বুকে চলাচলের জন্য দাঁড় করেছে। আর এই সাকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ পাড় হচ্ছে। যুব সমাজের উদ্যোগে ২০১৮ সালে সাঁকোটি নির্মাণ করা হলেও কিছুদিন যাবার পর সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। তাই দুই ইউনিয়নের মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে ২০২২ সালে টাকা উঠিয়ে এলাকার যুবকরা নির্মাণ করে এ সাঁকোটি। এখন সাঁকোটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি দর্শনীয় স্থান। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন গ্রাম থেকে এবং পাশেই অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জায়গাটি দেখতে ভিড় করে প্রতিদিন।
শ্রীরামপুর গ্রামের সমাজসেবক আতিয়ার রহমান খান জানান, একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল । স্কুল কলেজে যাতায়াত ও কাঁচামাল বিক্রয় এবং কৃষি পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য ঘুরতে হতো দীর্ঘ ৭-৮কিলোমিটারের পথ। তাই এলাকার যুবকরা নিজেরাই টাকা তুলে এ সাঁকো নির্মাণ করেছে।
দিগনগর ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, নদীর ওপারে শেখপাড়া বাজার অবস্থিত। এছাড়াও বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজসহ রয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার ফলে নানা প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় । সাময়িক কাঠের সাঁকোতে যাতায়াত করতে পারলেও একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবী আমাদের সরকারের কাছে ।
এ বিষয়ে ত্রিবেণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, এই দুই ইউনিয়নের মানুষের মেলবন্ধনের জন্য এই সাাঁকোটি অনেক উপকারে আসবে।নদীর দুই পাড়ে দুই এলাকার মানুষের রয়েছে চাষাবাদ। এছাড়াও যোগাযোগের জন্য কয়েক ৭-৮ কি, মি ঘুরে যেতে হয় । আবার নৌকা ছাড়াও পারাপারের কোন উপায় থাকে না। সাঁকোটি নির্মাণের ফলে কিছুটা হলেও এলাকার মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।