শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাদের নাম আলোচনায়
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণআন্দোলনের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে একটি সামরিক বিমানে করে মালদ্বীপে পাড়ি জমান তিনি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও আগেই পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে প্রেসিডেন্টের পলায়নের পর শ্রীলংকার শাসনভার কার হাতে। কার নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মিররের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও পদ থেকে সরে যেতে চান। তিনি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন। ২০ জুলাই পার্লামেন্ট সদস্যদের গোপন ভোটে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে মালদ্বীপে পাড়ি জমানোর ফলে শ্রীলংকার ক্ষমতা কঠামোয় উল্লেখযোগ্য শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোতাবায়া রাজাপাকসে বিস্তৃত নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সেইসঙ্গে শ্রীলংকান সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
তার পলায়নে এখন শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
গোতাবায়া পদত্যাগ করলে তার জায়গায় সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে, শ্রীলংকা পদুজানা পেরামুনার (এসএলপিপি) এমপি ডালেস আলাহাপেরুমা ও বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসা।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বাকি মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকতে চান। এসএলপিপির একটি অংশ তাকে সমর্থনও করে যাচ্ছে। তবে এসএলপিপির আরেকটি অংশ তাকে সে পদে রাখতে চায় না। তাকে থামাতে তারা বদ্ধপরিকর।
এসএলপিপির এ অংশের সমর্থন আছে ডালেস আলাহাপেরুমার প্রতি। এর আগে রাজনৈতিক দল এসজেবি তাদের প্রার্থী হিসেবে সাজিদ প্রেমাদাসার নাম ঘোষণা করেছে। যে প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন।
সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্থিতিশীল রাজনৈতিক এই পরিস্থিতিতে সামনে চলে আসতে পারেন শ্রীলংকার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট হিসাবে তারই শপথ নেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তিনিও রাজাপাকসে পরিবারের মিত্র এবং এই কারণে জনগণ তাকে গ্রহণ করবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।