‘অন্যের চরিত্র রূপায়ণ সবসময়ই কঠিন’
ক্যারিয়ারে এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দিয়েছেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকহূদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নিজের নতুন ছবি ও ইন্ডাস্ট্রির নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বললেন ইত্তেফাকের সঙ্গে। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন এ এম রুবেল
বর্তমানে কোন কাজগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
সম্প্রতি ‘ময়ূরপঙ্খী’ শিরোনামের একটি ছবির কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি একটি বিজ্ঞাপনের কাজ শেষ করলাম। এছাড়া বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজের কথা চলছে।
ময়ূরপঙ্খী ছবিটিতে আপনার চরিত্র এবং গল্পের প্রেক্ষাপট নিয়ে জানতে চাই—
দেখুন, এখনই ছবিটির সব কিছু খোলাসা করতে চাই না। আগে থেকেই সব বলে দিলে ছবিটি নিয়ে দর্শক আগ্রহ কমে যায়। এটুকুই বলবো, অনেক সুন্দর একটি গল্পে ছবিটি নির্মিত হতে যাচ্ছে। এখানে আমার চরিত্রটি অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ অন্যের চরিত্র রূপায়ণ করা সবসময়ই কঠিন। তবে আশা করছি দারুণ একটি কাজ হতে যাচ্ছে।
নতুন ছবি হলে ফিরলেও আপনার ছবি এখনো পায়নি দর্শকরা। এই প্রতীক্ষা কবে শেষ হবে?
আমার দুটি ছবি মুক্তি অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু এখনো তো আমাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দর্শকরা সেভাবে হলমুখী হচ্ছেন না। তাই হয়তো প্রযোজকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। পরিস্থিতি ভালো হলে নিশ্চয় আমার ছবিও হলে আসবে।
দর্শকদের হলমুখী না হওয়ার কারণ হিসেবে কী বলবেন?
দেখুন, যদি আমার ঘরে খাবার না থাকে তাহলে বিনোদন করার টাকা কোথায় পাবো! করোনার কারণে মানুষ নিজেদের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাতেই হিমসিম খাচ্ছে। পাশাপাশি হলে যেতেও তারা ভয় পাচ্ছেন। তবে পরিস্থিতি দিনদিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। সবাই কাজে ফিরছে। আশা করছি শিগগিরই অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
ওটিটিতে চলচ্চিত্র মুক্তি সংকট নিরসনে কতটা সহায়ক হবে?
নতুন মাধ্যমকে আমি সবসময়ই ইতিবাচকভাবে দেখি। ওটিটিতে ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। আমি চাই আরো ভালো কাজ হোক। কিন্তু হলে ছবি দেখার মজা তো আর মোবাইল বা কোনো ডিভাইসে পাওয়া যাবে না। যদিও দর্শকরা সিঙ্গেল ডিভাইসে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তাই আমার মনে হয়, হলের পাশাপাশি ওটিটিতে মুক্তি দিলে বেশি দর্শকের কাছে ছবিটি পৌঁছাবে।