অভিজিতের ঘাতকদের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণা ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরস্কার ঘোষণাকে বাংলাদেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) হোটেল রেডিসনে অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা বিষয়ক এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই পুরস্কার ঘোষণার বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়। আমি যতদূর শুনেছিলাম, ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ তারা এভাবে পুরস্কার ঘোষণার মাধ্যমে পেয়েছিলো। আমাদেরও তো বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ধরিয়ে দিতে পারলে বা খোঁজ দিতে পারলে পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া আছে। কেউ যদি সঠিক তথ্য দিতে পারে, তাদের অবশ্যই সরকার পুরষ্কার দেবে।’
যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু লোকজন আছেন, তারা ক্রমাগত বিভিন্ন ইস্যুতে সেখানকার (যুক্তরাষ্ট্র) আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মিথ্যা তথ্য দেন। তারা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য অতিরঞ্জিত আকারে উপস্থাপন করেন। ওখানে এসব করার জন্য কিছু লোক আছেন, এখানেও (দেশে) কিছু লোক আছেন এ রকম।
২০১৫ সালে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বলে যাদের সন্দেহ করা হয়, সেই মেজর জিয়া নামে পরিচিত সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেনের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
এ তথ্য জানিয়ে প্রকাশ করা একটি পোস্টারে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে বেরিয়ে আসার সময় আল-কায়েদা ভিত্তিক সন্ত্রাসীরা মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী রাফিদা বন্যা আহমেদকে আহত করে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস কর্মসূচির এক টুইট বার্তায় জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা থাকলে তা টেক্সট করে পাঠাতে একটি ফোন নম্বর দেয়া হয়।
বাংলাদেশে বইমেলা প্রাঙ্গণের বাইরে লেখক অভিজিৎ রায় খুনের চার বছর পর ওই হত্যার জন্য ছয় জনকে দায়ী করে চার্জশীট আদালতে দায়েরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।