অভিষেকের মৃত্যুতে মমতার শোক
টলিউডের অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যয় মারা গেছেন। বুধবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিষেকের মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সিনেমা ও শোবিজে শোক নেমে এসেছে।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছে। অভিনেতার আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে শোক বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি গতকাল গভীর রাতে কলকাতায় প্রয়াত হন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলি ‘পথভোলা’, ‘সুরের আকাশে’, ‘পাপী’, ‘শেষ প্রতীক্ষা’, ‘সীমান্ত পেরিয়ে’, ‘রাত্রি শেষের তারা’, ‘আলো’ ইত্যাদি।
তাছাড়াও ‘টাপুর টুপুর’, ‘চোখের তারা তুই’, ‘ফাগুন বৌ’, সহ বহু জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালেও তিনি অভিনয় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে ২০১৫ সালে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে। তার প্রয়াণে অভিনয় জগতে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠতো তার।
উৎপল দত্ত, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে অভিষেককে। কাজ করেছেন শতাব্দী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, ইন্দ্রাণী হালদারের মতো প্রথম সারির অভিনেত্রীদের নায়ক হয়ে।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি ‘পথভোলা’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো- ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’, ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’, ‘নীলাচলে কিরীটি’।
শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায়ও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন।
তবে গত কয়েক বছর ধরে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেকের সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছিল। ‘ইচ্ছেনদী’, ‘পিতা’, ‘অপুর সংসার’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘খড়কুটো’র মতো সিরিয়ালে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি।
Challenge your friends in the best online games! Lucky Cola