‘অ্যানিমেল’-এর বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে দিনের পর দিন কেঁদেছেন তৃপ্তি দিমরি

Share Now..

বলিউডের নিউ সেনসেশন অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। ‘কলা’ ও ‘বুলবুল’ দিয়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। তবে সেটা সমালোচকদের কাছে। কিন্তু গত বছর সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার বহুল চর্চিত সিনেমা ‘অ্যানিমেল’ দিয়ে সাধারণ দর্শকের কাছে পরিচিতি পান। তবে সিনেমাটি তার জন্য অম্লমধুর অভিজ্ঞতার মতোই। কারণ ‘অ্যানিমেল’-এর একটি দৃশ্যের জন্য প্রবলভাবে সমালোচিত হন তৃপ্তি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এই সমালোচনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে তার অনেক সময় লেগেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, তৃপ্তি দিমরি ও রাজকুমার রাও অভিনীত নতুন হিন্দি সিনেমা ‘ভিকি অউর বিদ্যা কা উয়ো ওয়ালা ভিডিও’ মুক্তি পাবে আগামী শুক্রবার। সিনেমাটির প্রচারে গিয়ে তৃপ্তি অবশ্য কথা বলেছেন তার বহুল চর্চিত সিনেমা ‘অ্যানিমেল’ নিয়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটিতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে তার একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল। ছবিটি মুক্তির পর যে দৃশ্যটি নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়। অভিনেত্রী জানান, ক্যারিয়ারে প্রথমবার ‘বাজে মন্তব্য’ পেয়েছেন, তা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। দিনের পর দিন কেঁদেছেন তিনি। তৃপ্তি বলেন, ‌‘অ্যানিমেল’ মুক্তির আগে কোনো সমালোচনা ছিল না। তবে সমালোচনা হয়েছে ছবি মুক্তির পর। আমার মনে হয় এটা মূলধারার ছবির অংশ হওয়ার এটাই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সব মিলিয়ে আমি খুশি। কারণ, এত গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। কিন্তু প্রথম দিকে কাজটা কঠিন ছিল। কারণ ‘বুলবুল’ ও ‘কলা’-তে কাজ করার সময় একেবারেই সমালোচনা হয়নি। তখন লোকজনের মন্তব্য পড়ে খুব খুশি হতাম আর ভাবতাম, মানুষ কেবল ভালো জিনিসই লেখে, জীবনে কোনো সমস্যা নেই।’ তবে ‘অ্যানিমেল’-এর পর মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখেন তৃপ্তি। তার ভাষ্যে, ‘অ্যানিমেল’-এর পর অন্তত দু-তিন দিন ধরে অনেক কেঁদেছি। আমি মোটেও এসবে অভ্যস্ত ছিলাম না। কখনোই ভাবিনি যে এত সমালোচনার মুখোমুখি হতে হবে। লোকজন খুবই খারাপ কথা বলছিলেন। এ বিষয়ে যখন আমি বোনের সঙ্গে কথা বলি, ও বলল, এটাকেও গ্রহণ করতে। এদিকে আমি সংবেদনশীল মানুষ, কারও সঙ্গে ঝগড়া হলে নিজের খোলসের ভেতর ঢুকে পড়ি। তাই আমি ভীষণভাবেই আহত হয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে কাজে মন দেব।’ অভিনেত্রী জানান, মানসিকভাবে সুস্থ হতে তার প্রায় এক মাস সময় লেগেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *