অ্যান্টার্কটিকায় পদচারণ বাড়াচ্ছে চীন

Share Now..


অ্যান্টার্কটিকায় নতুন গবেষণা স্থাপনা নির্মাণের কাজ ২০১৮ সালের পর এই প্রথম শুরু করেছে চীন। ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠানের স্যাটেলাইটে তোলা নতুন ছবিতে দক্ষিণের ঐ মেরু অঞ্চলে চীনের পঞ্চম গবেষণা স্টেশন নির্মাণের এই তৎপরতা ধরা পড়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন আর্কটিক অঞ্চলে নতুন জাহাজ চলাচল রুট গড়ে তোলা এবং অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা কাজের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। কিন্তু ঐ অঞ্চলে চীনের উপস্থিতি বেড়ে গেলে তাতে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) আরও ভালোভাবে নজরদারির ক্ষমতা পেয়ে যাবে বলে পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার উদ্বিগ্ন।

রস সী অঞ্চলের কাছে ইনেক্সপ্রেসিবল দ্বীপে চীনের সর্বশেষ এই নতুন গবেষণা স্থাপনাটির অবস্থান। ঐ এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, জার্মানি এবং ফ্রান্সেরও গবেষণা স্থাপনা আছে। অঞ্চলটিতে সম্পদ আহরণের দীর্ঘদিনের স্বার্থ ছাড়াও পর্যটন এবং মৎস্য ব্যবসাসহ নানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর ব্যাপক প্রকল্প রয়েছে চীনের।

রস সীর কাছে চীনের নতুন গবেষণা স্থাপনাটিতে স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশনসহ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বানানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যান্টার্কটিকায় চীনের উপকূলীয় অন্যান্য স্টেশনের সঙ্গে ত্রিভুজাকারে স্থাপিত থাকবে নতুন স্টেশনটি।

ঐ অঞ্চলে চীনের কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের ফাঁক এর মধ্যদিয়ে পূরণ হবে এবং স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন বানানোর কারণে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজেও তাদের জন্য আরও সুবিধা হবে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’ (সিএসআইএস) এর প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

সিএসআইএস জানুয়ারিতে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে ৫ হাজার স্কয়ার মিটারের ঐ স্টেশনে নতুন কিছু উন্নয়ন কাজ, অস্থায়ী ভবন, হেলিকপ্টার প্যাড এবং বড় একটি মূল ভবনের ফাউন্ডেশন তৈরির বিষয়টি চিহ্নিত করেছে। নির্মাণকাজ ২০২৪ সালেই সম্পন্ন হতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে সিএসআইএস।

চীন ঐ স্টেশনে বসানো যন্ত্রপাতিগুলো কেবল নিজেদের স্যাটেলাইট যোগাযোগের সুবিধার্থে নয় বরং অন্য দেশের স্যাটেলাইট যোগাযোগে আড়ি পাততেও ব্যবহার করতে পারে বলে সিএসআইএস আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অ্যান্টার্কটিকায় যুক্তরাষ্ট্রের এখনো অনেক বড় গবেষণা কেন্দ্র আছে। এরমধ্যে আছে সবচেয়ে বড় ম্যাকমার্ডো স্টেশন। কিন্তু সেখানে চীনের পদচারণ খুব দ্রুতই বাড়ছে। চীনের পঞ্চম স্টেশনটির দূরত্ব হবে ম্যাকমার্ডো থেকে ২০০ মাইল।

2 thoughts on “অ্যান্টার্কটিকায় পদচারণ বাড়াচ্ছে চীন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *