অ্যালোভেরা গাছের যত্নে যা করবেন

Share Now..

বাড়িতে রুপচর্চার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা খুবই কমন। প্রায় সব ধরনের ত্বকের পরিচর্যায় এই উপাদান কাজে আসে। অ্যালোভেরা পাল্প থেকে জুস বের করে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করে। আবার মাইগ্রেন, খিদে কম হওয়া, অ্যানিমিয়া থেকে ভালো হতেও এটি কাজে আসে। 

ফলে অ্যালোভেরা ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে যদি রাখা যায় তাহলে মন্দ হয় না। আসল সমস্যা হলো, গাছের যত্ন নেওয়া। কি কি ভাবনা রাখতে হবে? 

তাপমাত্রা ও সূর্যালোক
অ্যালোভেরা গাছ খুব বেশি ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। সাধারণত ট্রপিক্যাল ওয়েদার বা উষ্ণ আবহাওয়ার গাছ। ভালো বৃদ্ধির জন্য এদের মাঝারি সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। তাই দিনের বেলায় এই গাছকে বাড়ির বারান্দা অথবা জানলার গ্রিলে রেখে দিতে পারেন। যেখানে অন্তত দিনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলো আসে। ২৫ থেকে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা এই গাছের জন্য উপযুক্ত।

মাটি
এটি একটা ডেসার্ট প্ল্যান্ট হওয়ায় এর জন্য শুষ্কমাটি উপযোগী। লক্ষ রাখতে হবে যেন মাটিতে বহু সংখ্যক এয়ার পকেট থাকে। বাগানের মাটির সঙ্গে কিছুটা বালি, কোকো পিট, সারের মিশ্রণে এই মাটি তৈরি করে নিন। লক্ষ রাখবেন মাটি যেন এমন আলগা হয় যাতে শিকড়গুলি ভালভাবে প্রবেশ করতে পারে ও বৃদ্ধি পেতে পারে।

পানি
যেহেতু এই গাছের পাতায় যে পাল্প থাকে, তার মধ্যে পানির পরিমাণ অনেকটা বেশি। আর তাই এই গাছে অতিরিক্ত জল দিতে লাগে না। সাধারণত সপ্তাহে একবার জল দেওয়াই যথেষ্ট। এই গাছের পাতাগুলিকে পরীক্ষা করলেও কতটা জল দরকার, তা বোঝা যাবে। অত্যাধিক জল দেওয়ার লক্ষণগুলি হল-  হলুদ বা লালচে হয়ে যাওয়া, নরম, ঝুলে যাওয়া পাতা, অথবা পাতায় দাগ থাকা। আবার পাতা যদি শুকিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে জল দেওয়া কম হয়েছে।

সার ও কীটনাশক
এই গাছ খুব একটা সুখী নয়। তাই সাধারণত বছরে একবার ফসফরাস যুক্ত জলকে সার হিসাবে ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। তবে অনেক সময় বাগ ও নানা কীট-পতঙ্গের আক্রমণে গাছের ক্ষতি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে গাছের উপর নিমের স্প্রে ছড়িয়ে দিতে পারেন, গাছ ভাল থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *