আকাশে ‘অলৌকিক’ শিশুর প্রসব করালেন মুসলিম চিকিৎসক
গত মাসে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে দোহা থেকে উগান্ডার এন্টেবে শহরে যাচ্ছিলেন কানাডিয়ান চিকিৎসক ডা. আয়েশা খাতিব। পথিমধ্যে ফ্লাইটেই উগান্ডার এক অভিভাসী নারী কর্মী অলৌকিক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সেটির প্রসব করিয়ে এখন আলোচনায় কানাডিয়ান এই মুসলিম চিকিৎসক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ৫ ডিসেম্বর। কিন্তু টরন্টোতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় সেটি সবাইকে জানাতে পারছিলেন না ডা. আয়েশা খাতিব। অবশেষে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডা. আয়েশা খাতিব দোহা থেকে উগান্ডার এন্টেবে শহরে যাচ্ছিলেন। এক ঘণ্টা পরই ইন্টারকম দিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়, ফ্লাইটে কোনো চিকিৎসক আছে কি না? এর পরই তিনি সেখানে যান এবং অলৌকিক শিশুর প্রসব সম্পন্ন করান।
উগান্ডার ওই নারী সৌদি আরব থেকে নিজ দেশে ফিরছিলেন। মূলত সন্তান জন্মদানের উদ্দেশ্যেই তার দেশে ফেরা। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার কি হুকুম দেখুন, ফ্লাইটেই সন্তান পৃথিবীর আলোর মুখ দেখেছে। আর নাম রাখা হয়েছে চিকিৎসকের সঙ্গে মিলিয়ে ‘অলৌকিক আয়েশা’।
ডা. আয়েশা খাতিব বিবিসিকে বলেন, ‘ইন্টারকম থেকে ভয়েস শোনার পর আমি গিয়ে দেখি রোগীকে ঘিরে জটলা বেঁধে আছে। তখন এটিকে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল পরিস্থিতি মনে হচ্ছিল। কিন্তু আরও কাছে গিয়ে দেখি তার সন্তান পৃথিবীতে আসার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
‘তখন আরও দুই যাত্রীর সহায়তায় প্রসবের কাজ সম্পন্ন করি। শিশুটি দৃঢ়ভাবে কাঁদছিল। শিশুটি স্থিতিশীল এবং মাও সুস্থ ছিল। তখন আমি অভিনন্দন জানাই এবং বলি, কন্যা সন্তান হয়েছে। এরপর পুরো ফ্লাইটে তালি ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। সবাই ঘটনাটি দেখছিল,’ যোগ করেন তিনি।
Zlokalizuj za pomocą oprogramowania systemowego „Find My Mobile” dołączonego do telefonu lub oprogramowania do lokalizowania numeru telefonu komórkowego innej firmy.