আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন মারুফুল

Share Now..

ভিয়েতনামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বাছাই গ্রুপ পর্বে খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে পাঁচ দেশের মধ্যে সিরিয়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, স্বাগতিক ভিয়েতনাম রানার্স আপ, বাংলাদেশ তৃতীয় হয়। সিরিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হার, গুয়ামের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র, ভিয়েতনামের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হার এবং শেষ খেলায় ভুটানের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। 

এই টুর্নামেন্টে খেলতে নামার আগে অনুশীলন করতে ভিয়েতনাম দুই মাস জাপানে ছিল। তারা দ্বিতীয় পর্বে যেতে পারেনি। ভুটান কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার জন্য দুই মাস থাইল্যান্ডে ছিল। অথচ সাফে মাত্রই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভিয়েতনামে এই টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে কোচ তার প্রত্যাশা মতো কিছুই করতে পারলেন না। কোচ মারুফুল হক চেয়েছিলেন সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পুরো দলটা যেন একটা ছাতার নিচে থাকে। কারণ সাফ অঞ্চলের ফুটবল আর আশিয়ান অঞ্চলের ফুটবলের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। ওখানেই সাফের সঙ্গে সত্যিকারের ব্যবধানটা স্পষ্ট হয়। মারুফুল হক বুঝেন জানেন। কিন্তু যারা ফুটবলের মাথা তারা? সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এবার দল নিয়ে ভিয়েতনাম যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় পাননি কোচ। বসুন্ধরা কিংস তাদের ফুটবলারদের মারুফুলের ক্যাম্পে পাঠায়নি। কোথাও দ্বিমত থাকলে সেটি নিয়ে টেবিলে আলোচনার সুযোগ শেষ হয়ে যায় না। কারণ জাতীয় স্বার্থের সামনে রাগ-ক্ষোভ তুচ্ছ বিষয়। কিন্তু রাগারাগীর মাথায় দেশের স্বার্থটাকে অনেকে শ্রদ্ধাভরে মনে রাখতে পারেন না। এসব নানা কারণেই ভিয়েতনাম যাওয়ার সময় কোচ মারুফুল হকের মন ভালো ছিল না। 

ভিয়েতনামে প্রতিপক্ষের খেলা, পারফরম্যান্স সবকিছু নিয়ে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল। ‘আক্ষেপ হচ্ছে এখন। খুব কঠিন কিছু ছিল না। হাতের ভেতরেই ছিল-বললেন মারুফুল হক। তার কাছে মনে হচ্ছে অন্যরা যে পরিকল্পনায় ফুটবল খেলেছেন তার চেয়েও ঢের বেশি ভালো খেলার ক্ষমতা বাংলাদেশের প্রতিভাবান তরুণদের মধ্যে রয়েছে। দরকার পরিকল্পনা, বিনিয়োগ এবং বাস্তবায়ন, তাহলেই আশিয়ান অঞ্চলের ফুটবলে বাংলাদেশকে নিয়ে অন্যদের মাথা ব্যথা হবে। অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় দলের খেলোয়াড়রাই মূলত সিনিয়র জাতীয় দলে জায়গা নিয়ে থাকেন। মারুফুল হক বললেন, ‘আমরা সব সময় নেপাল, ভুটান নিয়ে থাকছি। এর বাইরেও যে ফুটবল আছে। সেখানেই আমাদেরকে যাচাই করতে হবে। ঐ সব অঞ্চলে খেললে আমরা প্রথম প্রথম হারব। কোথায় যাবে র‍্যাংকিং, সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। হারতে হারতেই জয়ের পথে যাওয়া শুরু হবে। আরেকটু বলি, বাচ্চা যদি ওয়াকার দিয়ে হাঁটা শেখে সেটা রিয়েল হাঁটা হয় না। হাঁটতে গিয়ে বাচ্চা পড়বে, ব্যথা পাবে। কাঁদবে, আবার উঠবে, এভাবেই হাঁটা শিখে যাবে। তখন আপনি চাইলেও এক ধাক্কায় ফেলে দিতে পারবেন না। পড়ে গেলেও সে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *