আজ ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশের আন্তর্জাতিক দিবস আজ। ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ নভেম্বরকে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনস্বরূপ ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস’ হিসেবে গ্রহণ করে। এর দশ বছর পরে ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘ইউনাইটেড নেশনস পার্টিশন প্ল্যান ফর প্যালেস্টাইন’ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরপর থেকে এ দিনটি ‘আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিনি সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রাধিকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত আছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে একটি সার্বভৌম, স্বাধীন ও কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করি, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবসে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের জন্য তাদের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে তাদের অবিচল সংহতি পুনর্নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জোরালো আদেশের নিরিখে গঠিত হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশের সংবিধানে সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ন্যায্য সংগ্রামে সারা বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষে বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদার শক্তি সাম্প্রতিক নৃশংসতাসহ সকল ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে বেআইনি ও যুদ্ধংদেহী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে অব্যাহত আগ্রাসন, অবৈধ বসতি নির্মাণ এবং বাড়িঘর ভেঙে ফেলা বন্ধ করার আহ্বান জানাই।