আনাসের জীবনের মূল্য এখন ৩০ লক্ষ টাকা
বিশ^বিদ্যালয় প্রতিবেদক, ইবি-
এক বছরের বেশি সময় ধরে অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়া নামক
মারাত্মক দূরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের
(ইবি) আল কুরআন এ্যাণ্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-
১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র আনাস ফারুক। শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়ায়
এ পর্যন্ত ৩৯ ব্যাগ রক্ত (এ পজিটিভ) তার শরীরে প্রবেশ করানো
হয়েছে। এই দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে তার উন্নত
চিকিৎসা বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
আনাস ফারুকের বাড়ি দিনাজপুর সদরের মুরাদপুর গ্রামে। তার
বাবা একজন কৃষক। গত এক বছরে ছেলের চিকিৎসা বাবদ
সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকা গুনতে হয়েছে তার। আর এজন্য নিজের
জমিটুকুও বিক্রি করেছেন তিনি। এরপরেও বর্তমানে দেড়
লক্ষাধিক টাকা ঋণী তিনি। একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে
ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ও চিকিৎসাব্যয়ের চিন্তায়
তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানালেন আনাস।
আনাস জানান, করোনার শুরুতে তার শরীরে এ রোগ ধরা পড়ে। তখন
রংপুর মেডিকেল ও দিনাজপুর শহরে ডাক্তার দেখান। কিন্তু অবস্থার
কোন পরিবর্তন হয়নি বরং দিনদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি
ঘটছে। শরীরে নিয়মিত রক্ত প্রবেশ না করালে মাথা ঘুরা, দূর্বল
ভাব এছাড়া ঠোঁট, জিহ্বা, চোখের মণি এবং কণ্ঠনালীতে রক্তের
জমাট বাঁধে। আবার রক্ত প্রবেশ করানোর কিছুদিনের মধ্যেই তা
ড্যামেজ হয়ে যায়, অর্থাৎ রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি হয়না।
এছাড়া শরীরে রক্ত না থাকলে চোখ বন্ধ হয়ে যায়, চোখ ও কাঁশির
সঙ্গে রক্ত প্রবাহিত হয়। এছাড়া শরীরে ব্যথা, কাঁপুনি দিয়ে জ¦র
এবং কথা বলতে কষ্ট হয়।
এমতাবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার
জন্য ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসক বলেছেন-তার
মেরুদণ্ডের হাড় ট্রান্সফার করা প্রয়োজন। আর এ জন্য চিকিৎসা
বাবদ ২০ লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। কিন্তু এতো মোটা অঙ্কের
টাকা জোগাড় করতে না পেরে আনাস স্থানীয় হোমিও
চিকিৎসা ও শরীরে নিয়মিত রক্ত প্রবেশ করাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে
আর কতদিন চলবে? এখন তার প্রয়োজন দ্রুত উন্নত
চিকিৎসার। মেরুদণ্ডের হাড় ট্রান্সফার, ঋণ থেকে মুক্তি,
চিকিৎসা ব্যয়, ওষুধপত্র কেনা ও ভারত যাতায়াত সহ সবমিলিয়ে
এখন তার ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
আনাস ফারুক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘অসুস্থতার শুরুর দিকে
চিকিৎসক আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদ্রাজে যাওয়ার
পরামর্শ দিয়েছিলেন। তখন চিকিৎসা করালে অবস্থার এতো
অবনতি ঘটতো না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ পেতে হলে
সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা প্রয়োজন। আমি আবার
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই।’
আমরা কি পারি না আনাসের চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে?
আমরা কি চাই না সে সুস্থ হয়ে আবার বিশ^বিদ্যালয়ের
ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহন করুক? আবার স্বাভাবিক জীবনে
ফিরে আসুক?
আনাসকে সহযোগীতার হাত বাড়াতে-
মোঃ আনাস ফারুক, ০২০০০১৬৩৫৩৩২৬ অগ্রণী ব্যাংক
লিমিটেড, মালদহ পট্রি শাখা, দিনাজপুর।
Epic battles, insane graphics, and endless fun Lucky Cola