‘আপনাদের আসলে গসিপ চাই’, নিজের লেখা বই প্রসঙ্গে বললেন প্রিয়াঙ্কা

Share Now..


গত ফেব্রুয়ারি মাসে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লেখা বই ‘আনফিনিশড’ প্রকাশিত হয়েছে। এই বইতে নিজের ছোটবেলা, কেরিয়ার, মা-বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক, ভারতে ও আমেরিকায় তার বেড়ে ওঠা, এবং মিস ইন্ডিয়া থেকে এক অভিনেত্রী হয়ে ওঠার যাত্রা কেমন ছিল সে সমস্ত লিখেছেন প্রিয়াঙ্কা। বলিউড থেকে হলিউডে রাস্তাটা কেমন ছিল সেসব নিয়েও কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

নিজের বইতে অন্য কোনো ব্যক্তির নাম করে কিছু লেখেননি। সম্প্রতি তাকে এক জায়গায় জিজ্ঞাসা করা হয়, যে নামগুলি তিনি প্রকাশ করেননি বইতে সেগুলি কি তিনি বলতে চান? উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘এটা অন্য কারও গল্প নয়। গল্পটা আমার।’

প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন যে, বহু রিভিউ লেখা হয়েছে তার বই সম্পর্কে। বেশ কিছু জায়গায় অপ্রকাশিত নামগুলির সম্পর্কে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। তাই অভিনেত্রী বলছেন, ‘আসলে আমার বই থেকে গসিপ দরকার।’ কিন্তু তবুও প্রিয়াঙ্কার বই সারা বিশ্বের বহু জায়গায় এখন বেস্ট সেলার। কোনও রকম বিতর্ক তৈরি না করেও বইটি এভাবে জনপ্রিয় হওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন।
বইতে প্রিয়াঙ্কা লিখেছিলেন মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতার পর এক পরিচালক তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের শরীরকে আরও ‘সুন্দর’ করে তোলার। কিন্তু কে সেই পরিচালক সেই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি প্রিয়াঙ্কা। আর তাতেই বেড়েছে মানুষের কৌতূহল। অনেকেই জানার চেষ্টা করেছে যে সেই পরিচালক আসলে কে।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন বিয়ে করে তিনি অনেক নতুন বিষয় বুঝতে পেরেছেন। প্রিয়াঙ্কা বলছেন, ‘একটা বিষয় আমি বিয়ে করে বুঝেছি। আগে আমি বুঝতেই পারতাম না যে এমন কাউকেই আমার দরকার। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি যে আমি ওকে ছাড়া বাঁচতেই পারব না। আমি যে কাজটা করি সেটার জন্য আমায় সব সময়ে প্রশংসা করে নিক। আমার খুব ভালো লাগে যখন দেখি যে আমায় আমার সাফল্য, আমার কেরিয়ার, বা আমি যেখানে যাই সবকিছুতে পাশে দাঁড়ায় সে। আমি আগে বুঝতামই না যে এটাই আমার দরকার। আমি বুঝিনি আমার একজন চিয়ারলিডারকে দরকার।’প্রিয়াঙ্কা আরও বলছেন, ‘পরিবার ছাড়া আমার কাছে কাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ১৭ বছর থেকে আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন থেকেই কাজ আমার পাশে ছিল। কঠোর পরিশ্রম করে যে আমি নিজে এই জায়গায় পৌঁছেছি সেটা বোঝার জন্য যে একজন সঙ্গী দরকার সেটা আমি আগে বুঝিনি। সত্যিই দারুণ লাগে এমন একজন সঙ্গী পেয়ে যিনি সবকিছুতে পাশে থাকেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *