আপোসের উপায় বের করতে রাশিয়া ‘সবকিছু করবে’: পুতিন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন প্রশ্নে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সৃষ্ট সঙ্কটের ক্ষেত্রে আপোসের উপায় খুঁজে বের করতে মস্কো সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ৫ ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা প্রশমনের।
বৈঠকের পর পুতিন বলেন, ‘এ সঙ্কট নিরসনের উপায় খুঁজে বের করতে আমাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব, আমরা তার সবকিছু করবো, যা সকলের জন্য ভাল হবে। ইউরোপীয় মহাদেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে তাতে ‘কেউ বিজয়ী’ হবে না।’
রাশিয়ার এ নেতা জোরদিয়ে বলেন, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ রাখাসহ মস্কোর নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবি প্রত্যাখান করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি মনেকরি না যে আমাদের সংলাপ শেষ হয়ে গেছে। ন্যাটো ও ওয়াশিংটনকে রাশিয়া শিগগিরই একটি বার্তা পাঠাবে।’
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংঘাতের বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যস্থতায় করা মিনস্ক চুক্তিকে সম্মান দেখানো উচিত হবে।
পুতিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এক্ষেত্রে কোন বিকল্প নেই।’
বৈঠকের পর ম্যাক্রোঁ বলেন, বর্তমানে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতার ঝুঁকি বাড়ছে। রাশিয়া ও ইউরোপের কেউ অস্থিরতা ও উত্তেজনা চায় না। কারণ দেশগুলো আগে থেকেই করোনার কারণে সঙ্কটে আছে। তাই দীর্ঘমেয়াদে আমাদের স্থিতিশীল একটি সমঝোতায় আসতে হবে।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন উত্তেজনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়ে মস্কোর দাবি নিয়ে ফোনালাপ করেছেন ম্যাক্রোঁ ও পুতিন। মস্কো জানায়, এ দুই নেতা ‘সার্বিক ইউক্রেন পরিস্থিতি’ এবং ‘দীর্ঘ-মেয়াদি’ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়ে রাশিয়ার দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পুতিন ‘কিয়েভ নেতৃত্বের উস্কানিমূলক বিভিন্ন বিবৃতি ও পদক্ষেপের ব্যাপারে আবারো মনোযোগ আকর্ষণ করেন।’
ইউক্রেন সীমান্তের কাছে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া এমন অভিযোগ করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। এর জবাবে ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই সিধান্তের নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া।
মস্কো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিধান্ত ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ। এতে উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে ও এটি রাজনৈতিক সমাধানের সুযোগ কমিয়েছে।