আফগানিস্তানে যে কারণে মৃত্যুর শঙ্কায় লাখো শিশু

Share Now..

তিন বছরের শিশু কামিলা, কিন্তু তার ওজন মাত্র পাঁচ বছর। পেটের, বুকের হাড় বের হয়ে গেছে, ভুগছে চরম অপুস্টিজনিত রোগে। এমন হাজারো চিত্র আফগানিস্তানের শিশুদের।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু কামিলার পরিবার নয়, আফগানিস্তানের লাখ লাখ পরিবার চরম খাদ্যসংকটে। যার মধ্যে নারী ও শিশুরা বেশি ভুক্তভোগী। মানবাধিকার সংস্থাগুলো আহব্বান জানিয়েছে দেশটিতে বিদেশী সহায়তার।

তবে দেশটিতে ক্ষমতায় যাওয়া তালেবান সরকার সিএনএনে দাবি করেছে ভিন্ন। তালেবান অর্থনৈতিক সংকটের কথা স্বীকার করেছে কিন্তু অনাহারে রয়েছে লাখো মানুষ এমন তথ্যকে ভিত্তিহীন বলেছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, কেউ অনাহারে নেই কেননা এখানে কোন দুর্ভিক্ষ নেই এবং শহরগুলো খাদ্যে পরিপূর্ণ।

সিএনএন বলছে, তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে। কোটি কোটি ডলারের বিদেশী সহায়তা বন্ধ হয়েছে। জানিসংঘ জানিয়েছে, শীত শুরুর মৌসুমে দেশটির প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ চরম অনাহারে ভুগছে। এই সংখ্যা দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ শিশু যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে অনাহারে মৃত্যুর শঙ্কায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক হাসপাতালে জ্বালানি খরচ মেটানোর জন্য অর্থ নেই। রোগীদের কক্ষ গরম রাখতে তাই গাছ কেটে তা পুড়িয়ে তাপ দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যবস্থা না নিলে আফগানিস্তানের পরিণতি ভয়াবহের দিকে যাবে।

এদিকে আফগানিস্তানের হাজারো পরিবার জীবন বাঁচাতে নিজেদের সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে। মুসাফির নামে একজন শ্রমিক বলেন, আমাদের কাছে খাবারের জন্য শুধু পানি আর রুটি আছে। তথ্যসূত্র: সিএনএন, রয়টার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *