আবারও আলোচনায় সবুজ চোখের বিখ্যাত সেই আফগান নারী
সবুজ চোখের জন্য বিখ্যাত আফগান নারী শরবত গুলা। তিন দশকেরও বেশি সময় আগে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সাময়িকীর প্রচ্ছদে তার ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। এর পরই বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। সেই আফগান নারী আবারও খবরের শিরোনাম হলেন।
এনডিটিভি ও বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালিতে আশ্রয় নিয়েছেন সবুজ চোখের নারী শরবত গুলা। গত আগস্টে তালেবানরা কাবুল দখল করার পরই তিনি আফগানিস্তান ছাড়েন। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ইতালি সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানায়নি ইউরোপের দেশটি।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থান করছেন শরবত গুলা। আফগানিস্তানে কর্মরত একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় ৪৫ বছর বয়সী এই নারী রোমে পৌঁছান।১৯৮৫ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সাময়িকীর প্রচ্ছদে জায়গা পান শরবত গুলা। ছবিটি তুলেছিলেন আলোকচিত্রী স্টিভ ম্যাককারি। তার তোলা সবুজ চোখের এই আফগান মেয়ের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে শোরগোল শুরু হয়। বিবর্ণ পোশাক ও ধুলোমাখা ক্লান্ত মুখে শরবত গুলার সবুজ চোখের মর্মভেদী দৃষ্টি ছবিটিকে বিশ্বব্যাপী আলোচনায় নিয়ে আসে। বিপন্নতা, অসহায়ত্ব ও উদ্বেগ মেশানো জ্বলজ্বলে সবুজ চোখে যেন সারা দুনিয়ার মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলছিল ওই কিশোরী।
১৯৮৪ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারের কাছাকাছি এক শরণার্থী শিবির থেকে শরবত গুলার ছবিটি তোলা হয়েছিল। আর এটি ছাপা হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকসের ১৯৮৫ সালের জুন সংখ্যার প্রচ্ছদে। তখন তার বয়স ছিল ১১-১২ বছর।
সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসনের কারণে অল্প বয়সেই আফগানিস্তান ছেড়ে পাকিস্তানে পাড়ি জমান শরবত গুলা। সে সময় তার বয়স ছিল ৫-৬ বছর। পরে দেশে ফিরে সংসার শুরু করলেও তালেবানের প্রথম শাসনামলে আবারও দেশ ছাড়েন। নাম-পরিচয় পাল্টে পাকিস্তানে বসবাস করতে শুরু করেন। ২০১৪ সালে দেশটির নাগরিকত্ব পেতেও আবেদন করেন তিনি। কিন্তু সবুজ চোখের কারণে ধরা পড়ে যান এবং ২০১৬ সালে শরবত গুলাকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান।