আবারও কিরনের হাতে নারী ফুটবলের দায়িত্ব 

Share Now..

শনিবার অনুষ্ঠিত বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম বৈঠকে একাধিক স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করলেও কিছু কমিটি পুনর্গঠন করা হয়নি। যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তারাই দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু। তিনি জানিয়েছেন, তাবিথ আউয়ালের বোর্ডও আবার মাহফুজা আক্তার কিরনের ওপর আস্থা রাখছে। 

বোর্ড সূত্রের খবর- নারী ফুটবল কমিটিসহ অন্য যেসব কমিটি রয়েছে সেগুলো বর্তমান চেয়ারম্যানরা পরিচালনা করবেন। কিরনই নারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছেন বলে জানা গেছে। দেশের ফুটবলে একমাত্র নারীদের সাফল্যের ধারা রয়েছে। দেশের ফুটবল অনুরাগীরাও নারী ফুটবলারদের প্রতি ভীষণ খুশি। টানা দুই বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন হয়ে উপমহাদেশের ফুটবল নতুন জাগরণ তুলেছে বাংলাদেশ। দুই বারই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। শ্রেষ্ঠ ফুটবলার, শ্রেষ্ঠ গোলরক্ষকের পুরস্কার এনেছে বাংলাদেশ। আর এসব সাফল্যের পেছনের বড় কারিগর ধরা হয় নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান কিরনকে। অনেক সমালোচনার মধ্যেও নারী ফুটবল উন্নয়নের জন্য কিরনকে সহযোগিতা করে আসছিলেন কাজী সালাহউদ্দিন। পুরুষ ফুটবলে অভূতপূর্ব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও রেজাল্ট দিতে পারেননি তপু, জামালরা। নারী ফুটবলে তিল পরিমাণ সহযোগিতা দিলে একের পর এক ট্রফি এসেছে বাংলাদেশের ঘরে। বয়সভিত্তিক ফুটবলেও বাংলাদেশের ঘরে রয়েছে অনেক ট্রফি। এত সাফল্য গড়ার পেছনের পরিচালনাকারী সংগঠক কিরন শত সমালোচনার মধ্যে নীরবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মায়ের মতো হয়েছি। কাজ করতে নেমে কখনো পিছ পা হই না। আমি দেশের ফুটবলের জন্য কাজ করেছি। আপনারা সমালোচনা করুন, কিন্তু আমি তো কাজ থামিয়ে দেইনি। আজকে দেশ ট্রফি পেয়েছে। সেটা সবাই দেখেছেন। আমরা কাজ করছি। দেশ সাফল্য পাবে, এটাই সারা দুনিয়ার নিয়ম। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আমাকে কাজ করতে বলা হয়েছে, কাজ করবো।’  নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান কিরন গতকাল সংবাদমাধ্যমকে নিজের পরিকল্পনা জানিয়েছেন। তার পরিকল্পনা এবার অনেক দূর। সাফে কীভাবে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় করা যায়, তা নিয়ে গতকালও কথা বলেছেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনূর্ধ্ব-২০ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হবে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন কিরন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, কবে নাগাদ নারী বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ? সেই প্রসঙ্গে কিরন বলেন, ‘স্বপ্ন সবারই থাকে। আমরাও অনেক কিছু স্বপ্ন দেখি। কিন্তু সবকিছুর একটা ধাপ রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সব ধাপ পার হতে হবে। আমরা সাফ লেভেলে আরও শক্ত হতে চাই, এশিয়ার লেভেলে যেতে চাই, তারপর অন্য ভাবনা।’ 

বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, তারা দেশের ফুটবল নিয়ে যেসব পরিকল্পনা করবেন, সেখানে নারী ফুটবলকে অগ্রাধিকার দেবেন। ভবিষ্যতে ফিফার যেসব নারী উইনডো থাকবে, সেগুলো যথাযথ কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফাহাদ করিম। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হয়েছি মাত্র। আমরা ১০০ দিনের টার্গেট করে আগাব।’

One thought on “আবারও কিরনের হাতে নারী ফুটবলের দায়িত্ব 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *