আমদানির খবরে ফুলবাড়ীতে পেঁয়াজের দাম কমেলো কেজিতে ১০ টাকা
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানির খবরে ফুলবাড়ীতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। পুরোদমে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৬ মার্চ) ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পেঁয়াজের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিনদিন আগেও দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাইকারী বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে পাইকারী বাজারে ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফুলবাড়ী পৌরএলাকার খুচরা সবজি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রাকিব হাসান বলেন, দুইদিন আগেও ১০৫ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। আজ বুধবার এককেজি পেঁয়াজ কিনতে লাগলো ৯৫ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। পেঁয়াজের দাম নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।
ফুলবাড়ী শহরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, তিনদিন আগে পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজিদরে কিনে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার সকালে পাইকারী বাজার থেকে ৮৫ থেকে ৮৭ টাকা কেজিদরে কিনে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আরেক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. শাহজামাল বলেন, গত এক সপ্তাস ধরে মোকামে সকালে এক দামে পেঁয়াজ কেনার পর বিকেলে আরেক দাম হয়ে যেতো। এভাবে পেঁয়াজের দাম ওঠানামার জন্য পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা বিপাকে পড়ে যান। মোকামে দাম ওঠানামার জন্য খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা লোকসান গুণেছেন।
পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা মিহির সরকার বলেন, ‘বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকাম থেকে কিনে পরিবহন ভাড়াসহ সব খরচ মিলে মোকামেই প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। সেই পেঁয়াজ বাজারে এনে সরবরাহ করতে করতে কিছুটা ঘাটতি হয়ে যায় কাঁচা পণ্যের জন্য। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে স্থানীয় পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকাংশে কমে আসবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, নিত্যপণ্যের দাম যেন কেউ অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে মুনাফা করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।