আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কোটচাঁদপুরের কৃষকরা
\ কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা \
আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মাঠে মাঠে। নতুন ফসল ঘরে তুলতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চারিদিকে নতুন আমন ধানের ঘ্রাণ। শীতের সকালে কুয়াশা ঘেরা শিশির ভেজা রোদে চিক চিক করছে ধানের গাছগুলি। বলুহর প্রজেক্ট মাঠে গিয়ে দেখা যায় ছবদুল সরদার, শহিদুল ইসলাম, নাজের আলী, কবির হোসেন, মহিদুল ইসলাম, ঝন্টুসহ একদল কৃষক গাতা বেন্দে ধান কাটার কাজে ব্যস্ত। কে কার আগে যায় এ নিয়ে চলছে পাল্লা। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তার এ প্রতিবেদককে বলেন, এবার ধান রোপণে প্রথম দিকে পানির সংকট থাকলেও শেষের দিকে বৃষ্টির পানি বেশি হওয়ায় ধান ভালো হয়েছে কিন্তু ফলন বেশি ভালো হচ্ছে না। তবে নিচু অঞ্চলের ধানের জমিগুলোতে এখনো পানি শুকায়নি ফলে সেসব জমিতে ধান কাটতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। উপজেলার তালসার গ্রামের ধান চাষী মোতালেব হোসেন, জাইদুল ইসলাম ও বলুহর গ্রামের চাষি গোলাম মোস্তফা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘাতে ধান উৎপাদন করতে খরচ পড়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। এ ফসল কাটার পর অন্য ফসল উৎপাদনে বাড়তি তেমন খরচ হয় না। আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারছেন কৃষকরা। কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান বলেন, উপজেলার পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে আমন মৌসুমে ৬ হাজার ১৮৬ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। কৃষকরা ইতিমধ্যে এ ধান কাটতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ২২ ভাগ ধান কাটা হয়েছে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাকিটুকু কাটা শেষ হবে। এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমনের আবাদ হলেও ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা রয়েছে।
Challenge your friends in the best online games! Lucky Cola