‘আমি কিন্তু চুপ করে থাকিনি’
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। বিষয়টি এখন টক অন দ্য কান্ট্রি। ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে চিত্রনায়িকা মাহির ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার জের ধরে চিত্রনায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ইমন বলেন, ‘অডিও প্রকাশের পর আমাকে সবাই ভুল বুঝছে। চলচ্চিত্রের সহকর্মীরাও আমার বিষয়টাকে ভুলভাবে ভাবছেন ও ব্যাখ্যা করছেন। অথচ সবাই কিন্তু ফোনালাপ শুনেছেন এবং বুঝতে পারছেন যে আমি কেবল পরিস্থিতিটা সামাল দিতে চেয়েছিলাম।’
ইমন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেকে আমার ডিবি অফিসে যাওয়াটাকেও ভুলভাবে উপস্থাপন করছেন। আমাকে তলব করা হয়নি ডিবির পক্ষ থেকে। আমি নিজেই গিয়েছি আইনি পরামর্শের জন্য, বাধ্য হয়ে।’
সোমবার রাত ৮টার দিকে ইমন ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন বলে নিশ্চিত করেন ইমন।
ইমন জানান, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর সোমবার পুরোটা আমি গণমাধ্যম ও নিজের পরিচিত-কাছের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি কিন্তু চুপ করে থাকিনি। সবাইকে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছি। তবু অনেকে মনগড়া কথা বলে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দেন।
এসব আমাকে খুবই বিব্রত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। ফেসবুকে অনেকে আবার আমাকে নিয়ে নেতিবাচক নানা কথাবার্তা বলার চেষ্টা করেছেন। বিপর্যস্ত আমি, তাই ডিবি অফিসে এসে হারুন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। হারুন ভাই আমার পূর্ব পরিচিত। তার সঙ্গে এর আগে নানা সময়ে আমার দেখা ও কথা হয়েছে। তিনি আমাকে এ বিষয়ে কী করণীয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর চা খেয়ে আমি চলে আসি।’এদিকে এই অডিও কাণ্ডের পর তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে নিজ মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন ডা. মুরাদ।