আম্পায়ারের দুর্বলতায় হকি ম্যাচ শেষ হয়নি: কামাল
জাতীয় দলের সাবেক তারকা হকি খেলোয়াড় রফিকুল ইসলাম কামাল শুক্রবার প্রিমিয়ার হকি লিগে মোহামেডান-আবাহনীর ম্যাচ দেখেছেন। দুঃখ পেয়েছেন বিদেশি আম্পায়ারের ম্যাচ পরিচালনা দেখে। ওমানের আম্পায়ারের উচিত ছিল ম্যাচটা সুন্দরভাবে শেষ করা।
আম্পায়ার নিয়ে কামাল বলেন, ‘আম্পায়ারিংয়ে দুর্বলতা চোখে পড়েছে। মাঠের বাইরের ঘটনা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দেখা উচিত ছিল। যিনি মারামারি করেছেন তাকে কার্ড দেননি আম্পায়ার। যিনি মার খেয়েছেন তাকে কার্ড দিয়েছেন। এটা কেমন বিচার। ফেডারেশনের উচিত ছিল বিদেশি আম্পায়ারকে আগেই বুঝিয়ে দেওয়া যে, এটা মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ। অনেক ঘটনা ঘটতে পারে। সবকিছু সুন্দর ভাবে শেষ করতে হবে। মোহামেডান আবাহনীর আবেগটা বুঝতেই পারেনি আম্পায়ার।’ খেলা ভালো হচ্ছিল। চমত্কার খেলা, আমরা উপভোগ করছিলাম। ২ গোলে পিছিয়ে থাকা মোহামেডান ৩-২ গোলে এগিয়ে গেল। রেজাল্ট যাই হোক, ম্যাচটা তো শেষ হবে। আম্পায়ার একটা ম্যাচ ভালোভাবে শেষ করবেন, এটাই আম্পায়ারের কৃতিত্ব। অর্ধেক শেষ করে চলে আসার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই। একটা ম্যাচ সুন্দরভাবে শেষ করাই আম্পায়ারের স্বার্থকতা।’
আম্পায়ারের সঙ্গে ফেডারেশনের দুর্বলতা চোখে পড়েছে সাবেক অধিনায়ক কামালের। তিনি বলেছেন, ‘ম্যাচে যে ঘটনা ঘটেছে তা আরো ভালোভাবে ভিডিও রেফারেল ব্যবহার করা যেত। সত্যিকার অর্থে কী হয়েছে তা দেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে যদি সময় লাগত অসুবিধা কী। মোহামেডানকে ২টা লাল কার্ড দেওয়া হয়েছে। এটি কতটা সমীচীন হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। ডাগ আউটের অনেক প্লেয়ার মাঠে ঢুকেছে তখন কেন আপনি (আম্পায়ার) কার্ড দেননি। দুই পক্ষের অনেকেই কার্ড পায়, যাকে মারামারি করতে দেখলাম তাকে কার্ড দেয়নি।’
মোহামেডানকেও দুষেছেন কামাল। ‘আমি বলব মোহামেডানের উচিত হয়নি ওভাবে ম্যাচটা শেষ করা। ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল মোহামেডান। পুরো ম্যাচটা তাদের পক্ষে ছিল। দরকার হয় আমি মার খাবো। রেজাল্ট আমার পক্ষে কথা বলছে। এটা ট্রফি জয়ের খেলা। লড়াইয়ে অনেক কিছু হবে। প্রতিপক্ষ আপনাকে টেম্পারড করতে চাইবে। আমি কেন সেই ফাঁদে পা ফেলব। মোহামেডানের উচিত ছিল ঝামেলায় না জড়ানো।’