‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাইয়ের আনরিলিজ গানগুলো প্রকাশ করবো’

Share Now..

কণ্ঠশিল্পী রিজভী ওয়াহিদ। বাংলা আধুনিক গানে একাধিক জনপ্রিয় গানের পাশাপাশি, দৃষ্টিনন্দন মিউজিক ভিডিও দিয়ে দর্শক শ্রোতাদের ভেতরে দারুণ এক জায়গা তৈরি করেছেন। বরেণ্য সংগীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের স্নেহধন্য ছিলেন তিনি। কথা বললেন সাম্প্রতিক গান ও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে। 

আপনার গানের অধিকাংশই জনপ্রিয় হয়েছে দ্বৈত কণ্ঠে। এর কোনো বিশেষ কারণ আছে কী?

না, যেহেতু প্রেমের গান গেয়েছি। দর্শক-শ্রোতারাও তা গ্রহণ করেছেন। তাই দ্বৈত গানগুলোই করেছি। আমি নিজেও শ্রোতা হিসেবে মিষ্টি প্রেমের গান শুনি, গাইতে ভালোবাসি।

আপনি ভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও গানটাকে ছাড়েননি। এক্ষেত্রে কোন বিষয়টি সবচেয়ে টেনেছে?

আমি খুব শৈশব থেকে গান শিখি। স্টাফ নোটেশনে পিয়ানো শিখেছি দীর্ঘদিন। সংগীত আমার তীব্র একটা নেশা। তাই জীবন জীবিকার জন্য যা কিছুই করি না কেন, গানটাকে ছাড়িনি। গানটার সাথে কখনও কম্প্রোমাইজ করবো না বলেই এটাকে আমি সবসসময় আলাদাভাবে ট্রিট করেছি। একটি ভালো গান, নান্দনিক ভিডিওসহ দর্শক-শ্রোতার মাঝে হাজির হয়েছি। দর্শক-শ্রোতার যে ভালোবাসাটুকু অর্জন করেছি তা অন্য কিছু দিয়ে পরিমাপ করা কঠিন।

আপনার সাথে বরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের এক নিবিড় সম্পর্ক ছিল। আপনাকে ছেলের মতো দেখতেন। স্নেহ করতেন। তার সম্পর্কে শুনতে চাই—

তাকে নিয়ে তো বললে শেষ হবে না। আমার ঢাকা শহরের অন্যতম অভিভাবক ছিলেন তিনি। যেকোনো বিষয়ে ভীষণ পরামর্শ দিতেন। আমি মনে করি আরও ১০/১৫টা বছর তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় উপকার হতো। তার সুরে বেশ কিছু ট্র্যাক আমার এখনও আনরিলিজ রয়েছে। সেগুলো রিলিজ দেওয়ার প্ল্যান রয়েছে।

অনেকের সাথেই গান করেছেন। দ্বৈত গানের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে কী কোনো সমস্যায় পড়তে হয়েছে?

শুরুতে সবারই প্রতিষ্ঠিত শিল্পীর সাথে ডুয়েট গান গাইতে সমস্যা হয়। নতুনদের অনেকেই গাইতে চান না। সেক্ষেত্রে আমি বলবো আমার কো আর্টিস্টরা সবাই খুবই সাপোর্টিভ ছিলেন। আর প্রিয় তালিকা তো অনেক বড়। কাকে রেখে কার নাম বলবো, ন্যান্সি, শুভমিতা, কনাসহ অনেক নাম।

আপনার মিউজিক ভিডিওগুলো খুবই আলাদা এবং বিশেষ হয়। সেক্ষেত্রে এই কাজগুলো করার একটি অভিজ্ঞতা বলুন—

বাংলাদেশে অনেকের সাথেই আমার কাজ হয়েছে। অনেক নির্মাতা আমার গানের কাজ দিয়েই ক্যারিয়ার টার্নিং হয়েছে। অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে একটি মজার ঘটনা মনে পড়ছে। একবার আমরা অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শুটিংয়ে বের হয়েছি। বিশাল জোনের অনুমতি পেয়েছি। তো আমাদের ক্যামেরা ক্রুসহ সকলেই স্পটে। গিয়ে দেখি বিশাল কয়েকটা লরি। তো আমরা ভেবেছি সমুদ্রপাড়ে হয়ত কোনো কিছু আনলোড করার জন্য গাড়িগুলো দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেহেতু অনুমতি আছে, তাই লরিগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা বলতে যাই। আমাদের টিমের মেহেদী কাছে যেতেই দেখে পুরো লরি ভর্তি কয়েকশ’ ক্যামেরা, লাইট! দেখেই ভড়কে গেলাম। পরে জানলাম ওখানে হলিউডের ‘থর’ মুভির শুটিং চলছে। পরে আমরা ঐ জোন ত্যাগ করে অন্য জোনে শুটিং করি।

আপনার আপকামিং কাজগুলো নিয়ে বলুন—

বেশ কিছু গান আসছে সামনে। বাপ্পা মজুমদার, মাসুমের কম্পোজিশনে গান আসছে। শ্রেয়া ঘোষালের সাথে একটি ডুয়েট গানের পরিকল্পনা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *