ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে স্টোকস
দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করার পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জো রুট। তার নেতৃত্বে সর্বশেষ ১৭ ম্যাচে জয় মাত্র একটি। তবু, দেশটির সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক তিনিই। রুটের অধীনেই যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ইংলিশরা।
এখন ইংল্যান্ড সহ ক্রিকেট বিশ্বে আলোচনায় টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক কে হচ্ছেন। এমন কাউকে এই দায়িত্ব দিতে হবে, যে একাদশে নিয়মিত খেলার যোগ্যতা রাখে এবং ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিস্কের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও রয়েছে। পাশাপাশি বয়সটাও এমন হতে হবে, যেন দীর্ঘসময় নেতৃত্ব দিতে পারে।
এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের মতে, অধিনায়কের জন্য যোগ্য ব্যক্তি হতে পারেন তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল পডকাস্টে মাইকেল ভন বলেন, ‘আমি আর কাউকে (স্টোকস ছাড়া) দেখি না, যে এই পজিশনটা নিতে পারবে। একই সঙ্গে দলেও নিজের জায়গার নিশ্চয়তা দিতে পারবে।’
ভনের কথায় যথেষ্ট যুক্তিও আছে। বর্তমানে ইংল্যান্ড টেস্ট দলে সিনিয়রদের মধ্যে যারা আছেন তারা নিয়মিত নন। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই দলে জায়গা পাননি দুই অভিজ্ঞ পেসার জেমস আন্ডারসন ও স্ট্রুয়াট ব্রড। তাছাড়া এই দুই জনের বয়সও এখন আর নেতৃত্ব দেওয়ার নয়। বাকি যারা আছেন তারা প্রায় সবাই নতুন। অভিজ্ঞতা খুব বেশি নয়। তাই সবকিছু বিবেচনা করলে একমাত্র যোগ্য আছেন বেন স্টোকস।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। পরবর্তীতে ঘরের মাঠে অ্যাশেজেও একটি ম্যাচ প্রায় এক হাতেই জেতান। ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্টোকসের। গত বছর সম্পূর্ণ তরুণ একটি দল নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতান তিনি। যদিও এর পরই মানসিক কারণ দেখিয়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে যান। সেটি কাটিয়ে গত ডিসেম্বরে অ্যাশেজের মধ্য দিয়ে আবারও ফিরে এসেছেন।
মাইকেল ভন বলেন, ‘বেন স্টোকসের মধ্যে আপনি স্পষ্টতই এমন একজনকে পাবেন, যার ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিস্ক রয়েছে। এর জন্য সে তার সবকিছুই দেবে। পাশাপাশি সতীর্থদের কাছ থেকেও সম্মান আদায় করে নিতে জানে সে।’
এক্ষত্রে বেন স্টোকসের আশপাশে পরামর্শের জন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও চান সাবেক এই অধিনায়ক। মাইকেল ভন বলেন, ‘একজন ব্যক্তি ও খেলোয়াড় হিসেবে স্টোকসের মধ্যে সবকিছুই আছে, যা আপনি চান। কিন্তু তার অনেক সমর্থক প্রয়োজন। কারণ, আপনার মাঝে যখন এমন অলরাউন্ডার ট্যাগ থাকবে, তখন সবাই ভাববে আপনি সবকিছুই করতে পারবেন। তাই আশপাশে এমন সিনিয়র কাউকে লাগবে, যিনি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে।