ইইউতে যোগ দিতে বাধা নেই ইউক্রেনের

Share Now..

গত বছর রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিতে তৎপরতা চালাচ্ছিল ইউক্রেন। আলোচনা শুরু থেকেই এতে বাধা দিয়ে আসছিল হাঙ্গেরি। তবে অবশেষে ইউক্রেনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুতে রাজি হয়েছেন ইইউ নেতারা। খবর ডয়চে ভেলের।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইইউর ২৭ দেশের বৈঠকের পর আলোচনা শুরুর এ ঘোষণা আসে। বৈঠকে ইউক্রেন ছাড়াও মলদোভার সদস্য হওয়ার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় জোট।

এ ঘটনাকে নিজ দেশ ও ইউরোপের ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, এ এক ঐতিহাসিক জয়ের মুহূর্ত। এ জয় কেবল ইউক্রেনের নয়, সামগ্রিকভাবে ইইউ-র। এ জয় আমাদের আরও বেশি উজ্জীবিত এবং শক্তিশালী করবে।

ডয়চে ভেলে বলছে, ব্রাসেলসে ইইউর চলতি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ  ছিল না। হাঙ্গেরি শেষপর্যন্ত তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার দেশে ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ শুরু করতে চায় না। 

২৭ দেশের মধ্যে একমাত্র হাঙ্গেরি এ অভিমত জানায়। দেশটির দাবি, ২০২২ সালের জুনে ইইউতে যোগ দেওয়ার জন্য যে শর্ত রাখা হয়েছিল, ইউক্রেন এখনো তা পূরণ করতে পারেনি। ইউক্রেনে দুর্নীতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের উদাহরণ দেন তিনি।

ইউক্রেনের জন্য যে অতিরিক্ত ৫০ বিলিয়ন ইউরোর প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করে হাঙ্গেরি। ভিক্টর ওরবানের মতে, এ বাজেট নিজেদের সাধারণ বাজেটের বাইরে গিয়ে তৈরি করছে ইইউ। যদিও এর প্রায় নয় ঘণ্টা পর ইইউ কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনকে ইইউর অংশ করতে সম্মত হয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।

কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস ইউক্রেনের প্রসঙ্গ তোলার পর হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। বাকি ২৬ দেশ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয়। যেহেতু হাঙ্গেরি ভেটো প্রয়োগ করেনি, তাই ইউক্রেনের সংযুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *